Durga Puja 2023: পাখি জানায় পুজো আসছে
ছোটবেলায় দেখা যেত নদীর ধারে কাশফুল তার মানেই পুজো আসছে। কিন্তু ঝাড়গ্রামের কেন্দুয়া গ্রামের মানুষজনেরা মনে করেন তাদের গ্রামে পরিযায়ী পাখিরা এসে উপস্থিত হলে বর্ষা আসছে এবং পুজো আসছে।
ছোটবেলায় দেখা যেত নদীর ধারে কাশফুল তার মানেই পুজো আসছে কিন্তু ঝাড়গ্রামের কেন্দুয়া গ্রামের মানুষজনেরা মনে করেন তাদের গ্রামে পরিযায়ী পাখিরা এসে উপস্থিত হলে তারা মনে করেন বর্ষা আসছে এবং পুজো আসছে। প্রতিবছরের মতো এবারও সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখিরা এসে বাসা বেধেছে জামবনি ব্লকের কেন্দুয়া গ্রামের গাছের ডালে যা দেখে খুশি সমস্ত পাখি প্রেমীরা। এলাকাবাসীরা মনে করেন মে মাসের শুরুতে এই পাখিগুলি এসে তাদের গ্রামের ডালে বাসা বাঁধে ডিম ফুটায় বাচ্চা দেয় এবং বড় হওয়ার পর নভেম্বরের শেষে এখান থেকে তারা পুনরায় সুমুদ্রিক গন্তব্যে রওনা দেয়। গ্রামবাসীরা এ ও বলছেন এগুলো সমস্ত সামুদ্রিক পাখি সমুদ্র উপকূল স্থানে দেখতে পাওয়া যায় বর্ষা নামলেই এরা ঝাড়গ্রামে চলে আসে এদের নাম গ্রামবাসীরা রেখেছে শ্যামকল এদের দেখতে দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা এখানে জমায়েত হন, যা দেখে গ্রামবাসীরা খুব খুশি হয়। বেশ কয়েকবার এই পাখিগুলি চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা দেখা মিলেছিল যার পর ঝাড়গ্রামের বনদপ্তর এই পাখিগুলিকে দেখভালের জন্য এলাকার যুবকদের হাতে তুলে দেয় টর্চ লাইট আরো বেশ কিছু সরঞ্জাম যার ফলে পাখি চোরদের ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন। এলাকাবাসীর দাবি কেন্দুয়া গ্রামকে বনদপ্তর ও ব্লক প্রশাসন সঠিকভাবে পর্যটক স্থল হিসেবে গড়ে তোলে তাহলে এলাকাবাসীর কিছু সার্বিক উন্নয়ন হবে। এলাকার যুবক-যুবতীরা উপার্জনের দিশা খুঁজে পাবেন। কবে তাদের এই দাবি পূরণ হবে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন কেন্দুয়া গ্রামের সাধারণ মানুষ।