Rupali Sasya: এবার হাজার টন ইলিশ!
গত সপ্তাহে ৫০০ টনের পর এবার গত তিন দিনে আরও প্রায় এক হাজার টনের বেশি ইলিশ ধরে নিয়ে এলো সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে পূবালী বাতাস থাকায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি-ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘির মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে টন টন রুপোলি শস্য।
গত সপ্তাহে ৫০০ টনের পর এবার গত তিন দিনে আরও প্রায় এক হাজার টনের বেশি ইলিশ ধরে নিয়ে এলো সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে পূবালী বাতাস থাকায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি-ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘির মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে টন টন রুপোলি শস্য। চলতি ট্রিপে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরতে থাকা আরও কয়েকশো ট্রলার ঘাটে পৌঁছালে ইলিশের পরিমাণ আরও কয়েকগুণ বাড়বে বলে দাবি ডায়মন্ড হারবারের আড়ত মালিকদের। ওজনে ৫০০ গ্রামের বেশি থেকে প্রায় এক কেজি দুশো গ্রামের বেশি ওজন পর্যন্ত ইলিশ এসেছে। ইতিমধ্যে ইলিশভর্তি বাকি ট্রলার ফিরতে শুরু করেছে নামখানা, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ ও রায়দিঘির ঘাটগুলোতে। গতকাল রাতে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র বাজারের আড়তগুলোতে পাইকারি দরে ইলিশের দাম ছিল ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন পিছু ৫০ থেকে ১০০ টাকার বেশি। আবার ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ও তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকার বেশি। আড়ত ঘুরে পাইকারদের হাত ধরে ইলিশ পৌঁছে যাবে কলকাতা সহ রাজ্যের বাজারে। তবে বঙ্গোপসাগরের ইলিশের যে স্বাদ ছিল, দূষণ আর নোনা জলের কারণে স্বাদের কিছুটা তারতম্য রয়েছে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মৎস্যজীবীরা। ফলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে সমুদ্রের জলের নোনাভাব কেটে গেলেই ইলিশের স্বাদ আগের মতোই পাওয়া যাবে। কিন্তু খোলা বাজারে ইলিশের দাম কেন এত বেশি ? পাইকারদের দাবি, আগে পাইকারদের সংখ্যা কম ছিল। ফলে এক একটি আড়তে ইলিশ নিলাম হওয়ার সময় টাকার অঙ্কটা কম উঠতো। কিন্তু এখন পাইকারদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ইলিশ নিলামের সময় কিনতে হবে মাথায় রেখেই টাকার অঙ্কটাও যে যার মত বেশি করে ধরছে। পাশাপাশি খুচরো ব্যবসায়ীরাও আড়ত থেকে ইলিশ কিনে নিয়ে গিয়ে খোলা বাজারে নিজেদের লাভের দিকটা মাথায় রেখে বেশি দামে বিক্রি করছে। তার উপর বরফ, পরিবহন সহ আনুসঙ্গিক খরচ ধরে লাভের দিকটা মাথায় রেখে খোলাবাজারে ইলিশের দামটাও বাড়াতে হচ্ছে।