বাংলাদেশের সংসদে এল এলজিবিটিকিউদের জন্য নতুন আইন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপে আশায় বুক বাঁধছেন পদ্মাপারের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষজন। ট্রাফিক আলোয় দাঁড়িয়ে মুখে রঙ মেখে ভিক্ষাবৃত্তি আর নয়। আর নয় বেঁচে থাকার জন্য শুধুই যৌনদাসত্ব। এবার ওঁরাও স্বপ্ন দেখছেন, ওঁদের যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে কর্মসংস্থান। হো চি মিন বলছেন: নারী-পুরুষ এই বাইনারি থেকে সমাজ বেরোলেই আসবে আসল পরিবর্তন।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বাজেটে অর্থমন্ত্রী এএইচএম মোস্তফা কামাল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য বাজেটে একটি প্রস্তাব এনেছিলেন। ৩০ জুন ওই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনও সংস্থা তার লোকবলের ১০ শতাংশ বা ১০০ জনের বেশি ট্রান্সজেন্ডারকে নিয়োগ করে সেক্ষেত্রে তাঁদের বেতনের ৭৫ শতাংশ বা মোট করের ৫ শতাংশের মধ্যে যেটি কম সেই পরিমাণ কর ছাড় পাবেন সরকারের পক্ষ থেকে। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য প্রয়োজন তাদেরকে উৎপাদনমুখী করে কর্মসংস্থানের দিশা দেখানো। সেই জন্যই এই আইন প্রণয়ন। বাংলাদেশের এলজিবিটিকিউ মানুষদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মনিয়োগের ক্ষেত্রে সমানাধিকারের দাবিতে দীর্ঘদিন সোচ্চার অ্যাক্টিভিস্টরা। তাঁদের মতে সরকারি এই উদ্যোগ একটা বিশাল প্রাপ্তি।
Latest Videos