“মাসি টিকা হয়েছে?”, কাজের মাসিদের ভ্যাকসিন
বারো মাসের বাড়ির দেখভাল, ঘর মোছা, রান্নাবান্না। কোনও একদিন তোমার দেখা না হলেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। পরিবারের অভিভাবক এই পরিচারিকা দিদিরাই। কিন্তু এঁদের কথা ভাবেন কে? করোনা আবহে এই প্রশ্নটা নিশ্চয়ই মনে এসেছে? কে দেবে ভ্যাকসিন?
আচ্ছা, করোনার সময় কাজের দিদিদের Work From Home হয়? হয় না। বারো মাসের বাড়ির দেখভাল, ঘর মোছা, রান্নাবান্না। কোনও একদিন তোমার দেখা না হলেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। পরিবারের অভিভাবক এই পরিচারিকা দিদিরাই। কিন্তু এঁদের কথা ভাবেন কে? করোনা আবহে এই প্রশ্নটা নিশ্চয়ই মনে এসেছে? কে দেবে ভ্যাকসিন? কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন পুজো কমিটি আর মার্লিন আবাসন ভেবেছে এই দিদিদের-মাসিদের জন্য। জুনেই পরিচারিকা দিবস। একটি পুজো কমিটি আর একটি আবাসন সব মিলিয়ে এই পেশায় থাকা সবার কত শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পেলেন? এটা তো আর পয়সা দিয়ে নিতে পারবেন না। না পারবেন লম্বা লাইনে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর টিকা নিতে। সেটা করতে গেলে কত বাড়ি, সংসারের সারাদিনটাই ভেস্তে যাবে। তাই ভাবতে পারেন সবাই। “মাসি টিকা হয়েছে?” কাজের মাসির ভ্যাকসিন নিয়ে আমাদের কোনও আগ্রহ আছে? নেহাত কথার কথা কেউ জিজ্ঞেস করে ফেললেন। কিন্তু না উত্তর এলে কেউ কি বলবেন ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। ভাবছেন আপনি বাঁচলে…। কিন্তু ভেবে দেখুন এঁদের টিকা না হলে আখেরে কাদের ক্ষতি? তাছাড়া মানবিকতা বলেও একটা ব্যাপার আছে। সেটাই করে দেখাল প্রফুল্ল কানন আর মার্লিন আবাসন।