Gobardanga News: মৃতের বাড়ির মধ্যেই রাজনৈতিক কোন্দল!
এরপরেই সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মৃত নাবালিকার বাড়ির মধ্যে। অভিযোগ, প্রশাসনের উপস্থিতিতে সাদা কাগজে মৃত নাবালিকার বাড়ির পরিবারের সদস্যদের সই করিয়ে নেওয়া হয়। যদিও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, প্রশাসন তার কাজের জন্য বাড়িতে এসেছিল। তিনি শুধুমাত্র সদস্য হিসেবে বাড়ি চিনিয়ে দিয়েছিলেন। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করছে
রাঘবপুরের মৃত নাবালিকার বাড়িতে গাইঘাটা বিধানসভার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়লেন মছলন্দপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য স্বরূপানন্দ পাইক। এরপরেই সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মৃত নাবালিকার বাড়ির মধ্যে। অভিযোগ, প্রশাসনের উপস্থিতিতে সাদা কাগজে মৃত নাবালিকার বাড়ির পরিবারের সদস্যদের সই করিয়ে নেওয়া হয়। যদিও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, প্রশাসন তার কাজের জন্য বাড়িতে এসেছিল। তিনি শুধুমাত্র সদস্য হিসেবে বাড়ি চিনিয়ে দিয়েছিলেন। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করছে। বিধায়ক বলেন, মৃত নাবালিকার পরিবারের পাশে তিনি সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবেন।
বাঁশ বাগানের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল বছর ১৫ এক নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ। জানা যায়, গতকাল রাত থেকেই খোঁজ মিলছিল না ওই নাবালিকার। আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে দেখেন পরিবারের সদস্যরা তাতেও কোন খোঁজ না মেলায় মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা যুবকের বাড়িতেও যান পরিবারের সদস্যরা। তাতেও কোন খোঁজ না মেলায় পুলিশে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করেন সকলে। দুশ্চিন্তায় রাত কাটতেই, এদিন সকালে স্থানীয়রা দেখতে পায় একটি বাঁশ বাগানের ভিতর ঝুলছেন ওই নাবালিকার নিথর দেহ। তারপরই, পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে রাতের অন্ধকারে নাবালিকা কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তার সঙ্গেই জড়িত আছে স্থানীয় যুবক ইলিয়াস মন্ডল বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা থানার অন্তর্গত রাঘবপুর এলাকায়। রাঘবপুর এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় গোলদার এর বড় মেয়ে বছর ১৫ নাবালিকার মৃত্যু তাই কোন রকম ভাবেই আত্মহত্যা মানতে নারাজ পরিবার। পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। পাশাপাশি অভিযুক্তের ফাঁসি চাইছেন তারা। এদিন দেহ উদ্ধার হতেই খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ ও মসলন্দপুর তদন্ত কেন্দ্রের আধিকারিকরা। বাঁশ বাগান থেকে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাবরা হাসপাতালে। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট আসার পরেই বোঝা যাবে খুন নাকি আত্মহত্যা। নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে গোবরডাঙা থানায়। গোটা ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ।