Bhangar News: আধিকারিকদের দেখা নেই, অচলাবস্থা পঞ্চায়েতে
অফিসে আসলে প্রাণ সংশয়, তাই দীর্ঘদিন অনুপস্থিত পঞ্চায়েত সচিব। এক্সিকিউটিভ এসিস্ট্যান্ট আবার শাসকদলের দাপুটে নেতা। তিনি তাঁর মর্জির মালিক। ইচ্ছা হলে পঞ্চায়েতে আসেন, না হলে আসেন না। তাই পঞ্চায়েতের স্বাভাবিক কাজকর্ম লাটে উঠেছে। পরিষেবা নিতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন আমজনতা।
অফিসে আসলে প্রাণ সংশয়, তাই দীর্ঘদিন অনুপস্থিত পঞ্চায়েত সচিব। এক্সিকিউটিভ এসিস্ট্যান্ট আবার শাসকদলের দাপুটে নেতা। তিনি তাঁর মর্জির মালিক। ইচ্ছা হলে পঞ্চায়েতে আসেন, না হলে আসেন না। তাই পঞ্চায়েতের স্বাভাবিক কাজকর্ম লাটে উঠেছে। পরিষেবা নিতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন আমজনতা। এক দু’দিন নয়, টানা সাড়ে পাঁচ বছর এমনই অবস্থা ভাঙড় ২ ব্লকের পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এনিয়ে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে চিঠি চাপাটি হলেও নির্বিকার জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড সাবস্টেশন এলাকায় অবস্থিত পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই এলাকার জমি কমিটির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত টোনা, মাছিভাঙা, ঢিবঢিবা, উড়িয়া পাড়া, গাজীপুর, শ্যামনগর, স্বরুপনগর প্রভৃতি অঞ্চল নিয়ে পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত। এর আগে ওই পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। উপ প্রধান ছিলেন আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলাম। সেই সময় জমি কমিটির প্রবল প্রতিরোধে টানা পাঁচ বছর পঞ্চায়েতে উঠতে পারেননি তৃণমূলের প্রধান, উপ প্রধান। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষ তাঁদের ন্যায্য পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এরই মাঝে পঞ্চায়েত সচিব সুশান্ত দে সরকারকে মেরে হাত ভেঙে দেয় জমি কমিটির লোকজন। ফলে নিরাপত্তার অভাবে তিনি দীর্ঘদিন পঞ্চায়েতের পরিবর্তে বিডিও অফিসে বসে কাজকর্ম করেন। যেজন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে পঞ্চায়েত বোর্ড।
আবার মাস চারেক আগে নতুন বোর্ড গঠন করে জমি কমিটি। ফলে মনের মধ্যে ভয় বেড়েছে সচিবের। তিনি পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতে আসতে চাইছেন না। অন্যদিকে, এই পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ এসিস্ট্যান্ট আয়ুব হোসেন গাজী আবার উত্তর ২৪ পরগণার মিনাখা ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। অভিযোগ, তিনি সারা বছর নিজের এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচীতে ব্যস্ত থাকেন। ফলে নিয়মিত অফিসে আসতে পারেন না। পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ইসরাফিল মোল্লা বলেন, ‘আমাদের এখানে সহায়ক পদে ও বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে দুজন করে কর্মী থাকার কথা থাকলেও কর্মী একজন করে। আবার সচিব ও ইএ দিনের পর দিন অফিসে আসছেন না। তাই পঞ্চায়েতের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে, মানুষ সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না।‘ পালটা এলাকার তৃণমূল নেতা হাকিমূল ইসলাম বলেন, উন্নয়ন না করে জমি কমিটি শাসনের নামে শোষণ করছে। জমি কমিটি মাটির সিণ্ডিকেট, মাটি বিক্রি করছে,গাছ কাটছে। একেরপর এক অরাজকতা চালাচ্ছে।।