AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura News: শিক্ষক দিবসে এ কী ছবি!

Bankura News: শিক্ষক দিবসে এ কী ছবি!

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Sep 05, 2023 | 7:02 PM

Share

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ক্লাসরুম যেন ভগ্নস্তুপ। ছাদের চাঙড় ভেঙে ভেঙে পড়ছে। বারেবারে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও হাল ফেরেনি। অগত্যা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বারান্দায় পড়ুয়াদের বসিয়ে চলে পঠন পাঠন থেকে মিড ডে মিলের খাওয়া দাওয়া। স্কুলে শিশুদের পাঠিয়েও নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন না অভিভাবকরা। ঘটনা বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের খয়েরবনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ক্লাসরুম যেন ভগ্নস্তুপ। ছাদের চাঙড় ভেঙে ভেঙে পড়ছে। বারেবারে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও হাল ফেরেনি। অগত্যা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বারান্দায় পড়ুয়াদের বসিয়ে চলে পঠন পাঠন থেকে মিড ডে মিলের খাওয়া দাওয়া। স্কুলে শিশুদের পাঠিয়েও নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন না অভিভাবকরা। ঘটনা বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের খয়েরবনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের খয়েরবনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেনী পর্যন্ত পাঁচটি ক্লাস মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১০৩ জন। স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হারও ভালো। প্রায় দিনই স্কুলে উপস্থিত থাকে ৯০ থেকে ৯৫ জন পড়ুয়া। পঠন পাঠনের জন্য দুজন শিক্ষকও রয়েছে। রয়েছে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের ব্যবস্থা। কিন্তু ক্লাসরুমের অভাবে ধুঁকছে স্কুলটি। প্রথমে দুটি ক্লাসরুম থাকলেও কয়েকবছর আগে আরো দুটি ক্লাসরুম তৈরী হয় স্কুলে। কিন্তু পুরানো ক্লাসরুমগুলি সংস্কারের অভাবে ক্রমশ ধ্বংশস্তুপে পরিণত হতে বসেছে। পুরানো ক্লাসরুম দুটিতে ছাদের থেকে প্রায়শই খসে পড়ছে সিমেন্টের চাঙড়। দেওয়ালের পলেস্তরার অবস্থাও তথৈবচ। যেকোনোদিন দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে নতুন দুটি ক্লাসরুমের পাশাপাশি একাধিক ক্লাসের পড়ুয়াদের কখনো স্কুলের বারন্দায় আবার কখনো গাছের তলায় বাঁধানো বেদীতে বসিয়ে ক্লাস করাতে বাধ্য হন শিক্ষকরা। আবহাওয়া বিরূপ হলে তখনই দেখা দেয় সমস্যা। বারান্দা বা গাছের তলার বাঁধানো বেদীতে তখন ক্লাস করা যায়না। অগত্যা কিছুটা ভালো অবস্থায় থাকা দুটি ক্লাসরুমেই গাদাগাদি করে পড়ুয়াদের রেখে কোনোরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। একাধিক ক্লাসের পড়ুয়ারা একটি ক্লাসরুমে গাদাগাদি করে থাকায় পঠন পাঠন লাটে ওঠে। শিক্ষকদের শত চেষ্টার পরেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিতে পারেননা অভিভাবকরা। খেলাচ্ছলে ধংসপ্রায় ক্লাসরুম দুটিতে মাঝেমধ্যেই ঢুকে পড়ে ক্ষুদে পড়ুয়ারা। ফলে যেকোনোসময় ঘটে যেতে পারে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। সেই আশঙ্কায় স্কুলে পড়ুয়াদের পাঠিয়েও নিশ্চিন্তে থাকতে পারেননা অভিভাবকরা। অভিভাবকদের দাবী স্কুল শিক্ষা দফতরের টালবাহানাতেই স্কুলটির হাল এমন। স্কুলের পরিকাঠামোগত এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের প্রধানশিক্ষকও। জেলা স্কুল পরিদর্শকের দাবী বিষয়টি তাঁদের নজরে রয়েছে। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না হওয়া পর্যন্ত উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো ছাড়া তাঁদের আর কিছু করণীয় নেই।