Bhowanipore Double Murder: গুলিতে উড়েছে খুলি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হাড়হিম তথ্য
এখনও পর্যন্ত এলাকার ১০০ টির বেশি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশে। হরিশ মুখার্জী লেনের জোড়া খুনের কিনারার ঘটনায় পুলিশের ভরসা প্রতিবেশী চিকিৎসক সুভাষ চন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ।
কলকাতা: সোমবার ভর সন্ধ্যেবেলায় খাস কলকাতায় উদ্ধার হয় অবাঙালি দম্পতির রক্তাক্ত দেহ। তারপর থেকেই আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জী লেনের বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার এসএসকেএম থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসে পৌঁচেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। রশ্মিতা শাহকে যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তা আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নতুন মোড় নিয়েছে ভবানীপুরের জোড়া খুনের ঘটনা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাথার পিছন থেকে গুলি করা হয় রশ্মিতা শাহকে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় তাঁকে। মাথা এফোঁড় ওফোঁড় করে বেরিয়ে যায় গুলি। সূত্রের খবর, রশ্মিতার স্বামী অশোকের ঘাড়ে, কোমরে এবং পেটে একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
এদিকে জোড়া খুনের ঘটনার পর থেকে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলেই জানাচ্ছেন হরিশ মুখার্জী লেনের বাসিন্দারা। রহস্যের জট যতই খুলছে ততই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। কলকাতা হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি জেরা করেছেন বাড়ির পরিচারিকাকে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে নিহতদের কললিস্ট।
পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, অশোক শাহ ফ্ল্যাট বিক্রির চিন্তাভাবনা করছিলেন অনেকদিন ধরেই। একজনের সঙ্গে ফ্ল্যাট বিক্রি নিয়ে কথাও এগিয়ে ছিল। যার সঙ্গে কথা এগিয়েছিল, এক সপ্তাহ আগেই তার থেকে অগ্রিম বাবদ ১ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন অশোক শাহ। সূত্রের খবর, ফ্ল্যাট বিক্রি করার ক্ষেত্রে দর কষাকষি চলছিল দুই পক্ষের মধ্যে। জানা গিয়েছে, অগ্রিম বাবদ ওই ১ লক্ষ টাকা চেকের মাধ্যমে নিয়েছিলেন অশোক। আততায়ীরা ঘরের একটি আলমারি ভাঙলেও, অন্য আলমারিটি ভাঙতে পারেনি। যদিও পরিবারের দাবি, বাড়ি থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা, গয়না এবং ২টি মোবাইল ফোন খোয়া গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত এলাকার ১০০ টির বেশি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশে। হরিশ মুখার্জী লেনের জোড়া খুনের কিনারার ঘটনায় পুলিশের ভরসা প্রতিবেশী চিকিৎসক সুভাষ চন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ। ঘটনার পুঃনির্মাণে থ্রি-ডি ক্যামেরা এনেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। কিন্তু ভবানীপুরের মতো একটি ‘হাইপ্রোফাইল’ এলাকায় এরকম একটি জোড়া খুনের ঘটনার পর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।