Mahishasura Mardini Stotram: পেশা জুতো বিক্রি, নেশা...

Mahishasura Mardini Stotram: পেশা জুতো বিক্রি, নেশা…

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Oct 13, 2023 | 3:00 PM

"জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ"। যার অর্থ সকল কাজে নিপুন পারদর্শী।হুগলি শেওড়াফুলি বাসিন্দা অজয় সাহা সেই প্রবাদ কে আক্ষরিক অর্থে সত্যি করেছেন। বছর ৪৮ এর অজয় পেশায় একজন জুতো বিক্রেতা।শ্রীরামপুরের এন এস এভিনিউ তে রয়েছে তার জুতোর দোকান।সারাদিন জুতো বিক্রির পাশাপাশি তার নেশা মহিষাসুর মর্দিনী পাঠ করা।

“জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ”। যার অর্থ সকল কাজে নিপুন পারদর্শী।হুগলি শেওড়াফুলি বাসিন্দা অজয় সাহা সেই প্রবাদ কে আক্ষরিক অর্থে সত্যি করেছেন। বছর ৪৮ এর অজয় পেশায় একজন জুতো বিক্রেতা।শ্রীরামপুরের এন এস এভিনিউ তে রয়েছে তার জুতোর দোকান।সারাদিন জুতো বিক্রির পাশাপাশি তার নেশা মহিষাসুর মর্দিনী পাঠ করা।অনর্গল গোটা মহিষাসুরমর্দিনী শ্লোক তিনি মুখস্ত বলে চলেছেন। যা শুনলে মনে হয় যেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র স্বয়ং মহিষাসুরমর্দিনী পাঠ করছেন।

তার এইরকম শখ হওয়ার পিছনে কারণ যদিও স্বয়ং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রেই রয়েছেন। ছোট বয়সে বাবার সঙ্গে প্রতি বছর মহালয়ার দিন ভোর বেলায় উঠে রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলার মহলায়া শুনতেন। তাই থেকেই তার মনে ইচ্ছা জেগে ছিল তিনিও একদিন মহালয়া পাঠ করবেন। সেই থেকেই শুরু তার মহিষাসুরমর্দিনী শ্লোক পাঠ করার অধ্যাবস্যা।অজয় বাবুর যখন ১৫ বছর বয়স সেই বয়স থেকেই তিনি শুরু করেন মহিষাসুরমর্দিনীর স্তোত্রম্ পাঠ করা। পাড়া-প্রতিবেশীরা তার গলা শুনে স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে শুনতেন তার মহালয়ার পাঠ। এখন পুজো এলেই বিভিন্ন পূজা মন্ডপে তার ডাক আসে জনসমক্ষে মহালয়া বলে শোনানোর জন্য।

এই বিষয়ে অজয় সাহা তিনি বলেন, তার জীবনের রোল মডেল বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর জীবন দশায় তিনি কখনোই তার সাথে দেখা করতে পারেননি। তবে যদি কোনদিনও দেখা হতো সবার আগে তিনি তার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেন। তিনি আরো বলেন তার জীবনের ইচ্ছা তিনি কখনো না কখনো টিভি বা রেডিওতে মহালয়া পাঠ করার সুযোগ পাবেন।।