Bankura News: ঐতিহাসিক সৌধের কাছেই এ কী!
মাস কয়েক আগে ঐতিহাসিক সংরক্ষিত সৌধের অদূরে বে আইনী ভাবে নির্মাণ করায় একটি বেসরকারী লজ গুঁড়িয়ে দিয়েছিল বিষ্ণুপুর পুরসভা। সেই ঘটনা থেকেও শিক্ষা নেয়নি বিষ্ণুপুরের জমির কারবারিরা। বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত জোড় বাংলা মন্দির থেকে ১৩০ মিটার দূরত্বে মাটি ও মোরাম ফেলে একটি নীচু জমি ভরাটের অভিযোগ উঠল।
মাস কয়েক আগে ঐতিহাসিক সংরক্ষিত সৌধের অদূরে বে আইনী ভাবে নির্মাণ করায় একটি বেসরকারী লজ গুঁড়িয়ে দিয়েছিল বিষ্ণুপুর পুরসভা। সেই ঘটনা থেকেও শিক্ষা নেয়নি বিষ্ণুপুরের জমির কারবারিরা। বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত জোড় বাংলা মন্দির থেকে ১৩০ মিটার দূরত্বে মাটি ও মোরাম ফেলে একটি নীচু জমি ভরাটের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ পেতেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে জমি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেয় বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন। অন্যদিকে সমদূরত্বে থাকা অপর একটি নির্মাণের কাজও বন্ধ করে দিল পুরাতত্ব বিভাগ ও বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি জোড় বাংলা ১৩০ মিটার দূরত্বে গুমগড় লাগোয়া একটি নিচু জমি মোরাম ও মাটি ফেলে ভরাট করছিলেন জনৈক ব্যাক্তি। বিষয়টি নজর এড়ায়নি স্থানীয়দের। স্থানীয়রা বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে মহকুমা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। পুরাতত্ব বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত সংরক্ষিত কোনো মন্দিরের একশো মিটারের মধ্যে নির্মাণ বা ভূমির শ্রেনী বদল করা যায়না। ওই সৌধের দুশো মিটারের মধ্যে কোনো নির্মাণ করতে হলে সেক্ষেত্রে পুরাতত্ব বিভাগের আগাম অনুমতি প্রয়োজন হয়।
এক্ষেত্রে তেমন কোনো অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আপাতত ওই জমি ভরাটের কাজ বন্ধ করা হয়েছে মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ওই জমি কে বা কারা ভরাট করছে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য মেলেনি। অপরদিকে ওই সৌধেরই সমদূরত্বে সদ্য শুরু হওয়া একটি নির্মাণের কাজ আপাতত স্থগিত করেছে পুরাতত্ব বিভাগ ও বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। দুটি ক্ষেত্রেই কে বা কারা এই কাজগুলি করাচ্ছিল তাদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন।