AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অলিম্পিক্সের মঞ্চে বিশ্বযুদ্ধ থেকে ঠান্ডা যুদ্ধ, লুকিয়ে রয়েছে কোন কালো ইতিহাস?

অলিম্পিক্সের মঞ্চে বিশ্বযুদ্ধ থেকে ঠান্ডা যুদ্ধ, লুকিয়ে রয়েছে কোন কালো ইতিহাস?

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Aug 04, 2024 | 11:26 PM

Share

প্যারিসে শুরু হয়েছে অলিম্পিক্স। অলিম্পিক্স ঘিরে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের ছায়া। এর আগেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, বাহাত্তরের মিউনিখ, মস্কো থেকে লস এঞ্জেলেস বারবার কলঙ্কিত হয়েছে অলিম্পিক্স। কীভাবে বারবার রাজনীতি গ্রাস করেছে খেলাকে?

২৬ জুলাই ২০২৪ । প্যারিসের সেন নদীর তীরে জ্বলে উঠেছে মশাল। শুরু হয়েছে অলিম্পিক্স। অলিম্পিক্সের ইতিহাস শান্তির ইতিহাস! যুদ্ধবিদ্ধস্ত গ্রিসে যুদ্ধ থামাতে যে অলিম্পিকসের শুরু তার এবার ৩৩-তম উদযাপন। সিটিয়াস, আলটিয়াস, ফোর্টিয়াস- কমিউনিটার’ -একসঙ্গে শক্তিশালী হওয়ার প্রতিশ্রুতিতে পাঁচ মহাদেশের বলয় হাতে হাত ধরে পালন করে এই উৎসব। অলিম্পিকসের গ্লোরি টানে গোটা বিশ্বকে। কিন্তু এই অলিম্পিকেও জড়িয়ে বহু কালো অধ্যায়। পায়রা হত্যা থেকে শুরু করে সুইমিং পুলের নীল জল লাল হওয়া। মানবজাতির শান্তির উদ্দেশ্যে শুরু হওয়া অলিম্পিক যে নিজেই অশান্তির চাদরে বারবার নিজের মুখ লুকিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে সাতের দশকে মিউনিখ অলিম্পিক। কলংকিত হয়েছে পাঁচটি মহাদেশের বলয়ই। মশালের আলোর নিচটা কিন্তু বড়োই অন্ধকার! বিশ্ব রাজনীতিতে যুদ্ধের গুরুত্ব বা ভয়াবহতা যতটা বেড়েছে সেই তুলনায় শান্তির ক্ষেত্রে অলিম্পিকের প্রভাব বেড়েছে কি? আজকের নিউজ সিরিজে চারটি পর্ব রয়েছে, রক্তাক্ত মিউনিখ, হিটলারের হুঙ্কার, ঠাণ্ডা যুদ্ধে তপ্ত গেমস, দলাদলির ক্রীড়াঙ্গন।

 রক্তাক্ত মিউনিখ

আজও যুদ্ধক্ষেত্র গাজা। ভূমধ্য সাগরের তীরে ছোট্ট একটি জায়গা। আমেরিকা ইজরায়েলের সাথে লড়াইয়ে প্যালেস্টাইনের তরফে বারবার বোড়ে হয়েছে গাজা। কিন্তু ২০২৪ অলিম্পিক্স এ সবচেয়ে ছোট দল প্যালেস্টাইনের। সেই দলের সব খেলোয়াড়ই যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের উদ্বাস্তু! প্যালেস্টাইন নামটা বারবার উঠে আসে অলিম্পিকে। আজ যুদ্ধক্ষেত্র গাজা। কিন্তু সাতের দশকের ওই দিনটা কি কেউ ভুলতে পারবে? জার্মানির মিউনিখে সে বার গেমসের ট্যাগ লাইন ছিল, ‘গেমস অফ পিস অ্যান্ড জয়।’’ কিন্তু রাতারাতি সেই গেমস রূপ নিয়েছিল ‘গেমস অফ টেররে’। জার্মানির মাটিতে আবারো ইহুদিদের উপর আক্রমণ। তবে জাতি বিদ্বেষ নয়, এবারের হত্যাকাণ্ডের পিছনের ছিল প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতার দাবি। কী হয়েছিল সেবছর? দেখাব আজকের প্রথম পর্বে। আজকের প্রথম পর্ব, রক্তাক্ত মিউনিখ।

হিটলারের হুঙ্কার

বার্লিন, ১৯৩৬। ফ্যাসিবাদের জার্মানিতে শুরু হলো অলিম্পিকের যজ্ঞ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজছে। তার আগে বার্লিন অলিম্পিক্স ছিল শান্তি আনার শেষ চেষ্টা। অন্তত বাকি দেশগুলো তাইই ভেবেছিলো। কিন্তু জার্মানি তখন বধ্যভূমি। জেসি ওয়েন্স—এক কালো চামড়ার মানুষ। একজন আমেরিকান অ্যাথলিট, যিনি আর্যদের জাতবিদ্বেষের এই ফাঁদে এসে পড়েছেন। নাৎসি দর্শকদের মধ্যে ফিসফিসে হাসি, ঘেন্নার দৃষ্টি। কিন্তু তারা কি জানে, ওয়েন্স কি নিয়ে এসেছেন? দেখাব আজকের দ্বিতীয় পর্বে, আজকের দ্বিতীয় পর্ব, হিটলারের হুঙ্কার।

ঠাণ্ডা যুদ্ধে তপ্ত গেমস

অলিম্পিক্স বারবার ব্যর্থ হয়েছে যুদ্ধ বা মৃত্যু ঠেকাতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অলিম্পিক্স যেন সুড়ঙ্গের শেষে আলোর দিশা। তবুও সোভিয়েত মার্কিন টানাপোড়েনে বারবার নিভু নিভু অলিম্পিকসের আগুন। কোল্ড ওয়ারের সময় কিভাবে হচ্ছিলো অলিম্পিক্স? ১৯৮০র অলিম্পিক। মস্কোয় জ্বলবে অলিম্পিকের মশাল। তবে মশাল জ্বলার আগেই আফগানিস্তানের আগুনের আঁচ পৌঁছে গেলো মস্কোয়। মাত্র চার বছর পর, পালা ঘুরল। এবার ইস্ট ব্লকের পালা ছিল গ্লোবাল স্টেজ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেওয়া। বয়কট, পাল্টা বয়কটের ইতিহাসটা ঠিক কী? দেখাবো আজকের তৃতীয় পর্বে। আজকের তৃতীয় পর্ব, ঠান্ডা যুদ্ধে তপ্ত গেমস।

দলাদলির ক্রীড়াঙ্গন

হত্যা। গেমসের ইভেন্টে গুলি করে পায়রা হত্যা। শান্তির দূত পায়রাও বাদ পড়েনি নৃশংসতার হাত থেকে। তার প্রায় ন’দশক পরেও সেই পায়রা হত্যার ইভেন্ট বন্ধ হলেও বন্ধ হয়নি হত্যার ধারা। অলিম্পিকসের পদে পদে বৈষম্যের অভিযোগ। অভিযোগ রাজনৈতিক ও সামাজিক বায়াসের। মশাল আর নিচের অন্ধকার যতই গ্রাস করুক আজও অলিম্পিকসের সোনা চুম্বকের মত আকর্ষণ করে পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি খেলোয়াড়কে। কিন্তু তারপরও কেন বারবার দাগ লাগে পঞ্চবলয়ে? সেটাই দেখাবো, আজকের চতুর্থ এবং শেষ পর্বে। আজকের চতুর্থ পর্ব, দলাদলির ক্রীড়াঙ্গন।