Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Buddhadeb Bhattacharya Demise: বামপন্থী নয় তিনি বুদ্ধপন্থী– সরাসরি ঘোষণা জিতু কামালের, এর পরেই বড় সিদ্ধান্ত

Buddhadeb Bhattacharya Demise: বামপন্থী নয় তিনি বুদ্ধপন্থী– সরাসরি ঘোষণা জিতু কামালের, এর পরেই বড় সিদ্ধান্ত

TV9 Bangla Digital

| Edited By: আসাদ মল্লিক

Updated on: Aug 08, 2024 | 11:36 PM

Jeetu Kamal: এ যাবৎ সিপিআইএম ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন অভিনেতা জিতু কামাল। নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ জাহির করতে দ্বিধা ছিল না কোনওদিনই। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর দিনেই বড় ঘোষণা তাঁর, ‘আর সিপিআই রইলাম না’। কেন এই সিদ্ধান্ত? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। বামপন্থী নয় তিনি বুদ্ধপন্থী– সরাসরি ঘোষণা তাঁর। সেই মানুষটাই যখন আর রইলেন না তখন দলের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেও মুক্ত জিতু।

সিপিআইএম ছাড়লেন জিতু
এ যাবৎ সিপিআইএম ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন অভিনেতা জিতু কামাল। নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ জাহির করতে দ্বিধা ছিল না কোনওদিনই। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর দিনেই বড় ঘোষণা তাঁর, ‘আর সিপিআই রইলাম না’। কেন এই সিদ্ধান্ত? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। বামপন্থী নয় তিনি বুদ্ধপন্থী– সরাসরি ঘোষণা তাঁর। সেই মানুষটাই যখন আর রইলেন না তখন দলের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেও মুক্ত জিতু।

ঋতুপর্ণার স্মৃতিচারণ
তাঁর বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এই দিনে ওই বিশেষ দিনের কথা বারবার মনে পড়ছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। তাঁর কথায়, “আজ খুব মনে পড়ছে আমার বিয়ের দিনের কথা। তখন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। উনি এবং বুদ্ধদেব বাবু এসেছিলেন। আমাকে আশীর্বাদ করে গিয়েছিলেন। যদিও অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আমি একদিন হাসপাতালে দেখতেও গিয়েছিলাম। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁর প্রজ্ঞায় ছিলেন অটল।”

ভেঙে পড়েছেন প্রসেনজিৎ
বৃহস্পতিবার শহরে নেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শুটিংয়ের জন্য তিনি মুম্বইয়ে রয়েছেন। তবে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, বুদ্ধদেবের প্রয়াণের খবর পেয়ে তিনি খুবই ভেঙে পড়েছেন। বুদ্ধদেবের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন,‘‘এক জন সত্যিকারের ভাল, গুণী মানুষ চলে গেলেন। ভাল থাকবেন। বুদ্ধবাবুর পরিবারের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সমবেদনা।’’

চায়ের দোকানে আলাপ বিপ্লব-বুদ্ধর
কান্না ধরা গলায় বিপ্লব বলেন, “মির্জাপুর স্ট্রিটের একটি রেস্তোরাঁয় চা খেতে আসতেন বুদ্ধবাবু। ওখানকার চা তাঁর খুবই প্রিয় ছিল। কাকতালীয়ভাবে আমিও সেই চায়ের দোকানটাতেই যেতাম চা খেতে। ওখানেই আমাদের আলাপ, গল্প, সখ্যতা ডানা পায়। তিনি তখন রাজনীতিক নন। আমিও অভিনেতা নই। এটা কিন্তু কেউ জানেন না।”

মানতে পারছেন না শ্রীলেখা
চিরকালই বাম সমর্থক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। লিখেছেন, “বুদ্ধবাবু চলে গিয়ে বেঁচে গিয়েছেন। বাংলার মানুষ তাঁর সঙ্গে যেটা করেছে, সেটা ক্ষমার অযোগ্য। ওই দুঃখ, এই কষ্ট ভিতরে রেখে মাথা উঁচু করে উনি চলে গেলেন। কারও কাছে মাথা নোয়ালেন না। কোনও আপোস করলেন না। শেষের দিকে ওঁকে নিয়ে যে নোংরামো হয়েছিল, আমার মনে হয়েছে, বুদ্ধবাবুর যোগ্যই নই আমরা…।”

স্মৃতিচারণায় গৌতম ঘোষ
পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেছেন, “আমার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবি ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ প্রযোজনা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ওপারের যৌথ উদ্যোগে হয় ছবিটা। ওপারের প্রযোজক দুটো ইলিশ পাঠিয়েছিলেন বুদ্ধবাবুকে। তিনি সটান ‘না’ বলেছিলেন। কোনও উপহারই নিতেন না। পরে অনেক কষ্টে সেই উপহার নিয়ে বলেছিলেন, সবাই মিলে খাওয়া হবে।”

শোকস্তব্ধ মুনমুন সেন
অভিনেত্রী মুনমুন সেন খবরটা শোনা মাত্রই চুপ করে যান, একটু সময় নিয়ে বলেন, আমি যেটুকু চিনতাম ভদ্র লোককে, সত্যিকারের জেন্ট্যালম্যান ছিলেন। আমাদের নন্দনে দেখা হত, মিটিং-এ যেতাম, তখনই দেখতাম ওনাকে। আর ওনার বিষয় খারাপ বলার তো কিছু নেই, বিরোধী দল থেকে শুরু করে কেউ আমার মনে হয় না কিছু বলবেন ওনার বিষয়। বামপন্থী কমিউনিস্ট-এর সঠিক সংজ্ঞা ছিলেন বুদ্ধবাবু।

শোকাহত শঙ্কর চক্রবর্তী
অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী ধরা গলায় বললেন– আমি এইমাত্র শুনলাম। রিহার্সালে ছিলাম। কী বলব, মানে খুবই দুঃখের বিষয়। যদিও উনি ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। চোখের দৃষ্টি প্রায় ক্ষীণ হয়ে আসছিল। পড়তে পারছিলেন না। ওনার পড়া তো খুব নেশা ছিল। যাই হোক, একটা অধ্যায় শেষ হয়ে গেল। অত্যন্ত দুঃখ জনক ঘটনা।

কী বললেন নচিকেতা?

একইভাবে শোকাহত গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী, বললেন, বুদ্ধদার মৃত্যুটা এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমার সঙ্গে ওনার ব্যক্তিগত পরিচয়ও ছিল। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একসময় আড্ডাও দিয়েছি প্রচুর। ভাল মানুষ ছিলেন, সৎ মানুষ ছিলেন। অনেক বিষয় তাঁর আগ্রহ ছিল। মায়াকোভস্কির অনুবাদ করেছিলেন। আমি পড়েছিলাম। উনি আমায় চিনতেন নচিকেতা হিসেবে। যখনই দেখা হত, ওনার সঙ্গে বসে কথা হত। এইরকমই।