Latest Viral Video: এই বিশ্ব সত্যিই এক বিস্ময়কর স্থান। আমাদের চারপাশের প্রকৃতিকে ঘিরে এমনই কিছু রহস্য রয়েছে, যা আমাদের অবাক করে দেয়। সাধারণ নিয়মের বাইরে গিয়েও কোন প্রাণী যে কখন কাকে আক্রমণ করে বসবে, তা সত্যিই বোঝা মুশকিল। আজকের ইন্টারনেটের দৌলতে সেই সব কাণ্ড যখন আমাদের নজরে আসে, চোখ কপালে ওঠে আমাদের। হরিণ (Deer) যে সাপ খেতে পারে, তা কখনও জানা ছিল আপনার? এমন ঘটনা কি কখনও দেখেছিলেন আপনি? সেরকমই একটা ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে একটি হরিণের মুখে আধখাওয়া অবস্থায় ঝুলছে সাপটি (Snake)। সেই ঘটনা দেখার পরেই নেটিজ়েনদের অনেকেরই ভ্রুকুঞ্চিত হয়েছে। তাঁদের মনে প্রশ্ন, ‘এমনও হয়?’
IFS অফিসার সুশান্ত নন্দা অদ্ভুত এই ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘ক্যামেরা আমাদের চারপাশের প্রকৃতিকে আরও ভাল ভাবে বুঝতে সাহায্য করে। হ্যাঁ, তৃণভোজী প্রাণীরাও মাঝে মাঝে সাপ খায়।’ ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, জঙ্গলে ওই হরিণটিকে দেখার পরে একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সেই গাড়ি থেকেই কেউ একজন তাঁর ক্যামেরায় রেকর্ড করেছেন হরিণটিকে। দেখা গেল, ওই হরিণটি চিবিয়ে খাচ্ছে সাপটিকে। তার শরীরের একটা অংশ সেই সময় হরিণের মুখ থেকে ঝুলছে এবং বাকি অংশটা তখন হরিণের পেটে চলে গিয়েছে।
Cameras are helping us understand Nature better.
Yes. Herbivorous animals do eat snakes at times. pic.twitter.com/DdHNenDKU0— Susanta Nanda (@susantananda3) June 11, 2023
গত রবিবার অর্থাৎ 11 জুন ভিডিয়োটি টুইটারে শেয়ার করা হয়েছিল। এর মধ্যেই সেই ভিডিয়োর ভিউ 231.9K ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রচুর মানুষ ভিডিয়োতে কমেন্ট করেছেন। আমরা প্রায় সবাই মাংসাশী প্রাণীকে সাপ খেতে দেখেছি। কিন্তু এরকম ভাবে আগে কখনও একটা তৃণভোজী প্রাণীকে সাপ খেতে দেখিনি। আর তাই এখন নেটিজ়েনদের কাছে বড় বিস্ময়ের বিষয়। কমেন্ট সেকশনেই বোঝা গিয়েছে, উলটপুরাণের এই ঘটনায় কতটা অবাক হয়েছেন তাঁরা।
একজন লিখছেন, ‘তৃণভোজীরা মাংস খেতে পারে। কিন্তু তা বলে মাংসাশীরা কখনই ঘাস খেতে পারে না। এটা আসলে প্রাণীদের অন্ত্রের রসায়নের উপরে নির্ভর করে। এখানে সাপ খাওয়া আসলে খাদ্যের থেকেও অনেক বেশি পরিমাণে বেঁচে থাকার বিষয়। ঘাসে লুকিয়ে থাকা কোনও সাপ মেরে ফেলার থেকে তা তৃণভোজী এবং মাংসাশী উভয়েরই খাদ্য হিসেবে কাজে লাগতে পারে।’ দ্বিতীয় জন যোগ করলেন, ‘আমার মনে হয়, এটি একটি চাইনিজ় হরিণ। ওখানে মানুষ এবং জঙ্গলের প্রাণীরা যা-খুশি তাই খেতে পারে।’