Viral Video: একমাত্র নাতনিকে ৯১ বছরের দাদুর পাঠানো টিকটক মেসেজ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

মেসেজে দাদু নাতনিকে লিখেছেন, '২৯ বছরের মধ্যে যদি জীবনসঙ্গী খুঁজে না পাও, তাহলে নাকি একাই মরতে হবে। তিন মাসের মধ্যে তোমার জন্মদিন আসছে। আমি শুধু মনে করিয়ে দিলাম।'

Viral Video: একমাত্র নাতনিকে ৯১ বছরের দাদুর পাঠানো টিকটক মেসেজ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
মেগান এলিজাবেথ ও তাঁর দাদু।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 21, 2021 | 11:22 AM

ঠাকুমা-ঠাকুর্দা হোন কিংবা দাদু-দিদা, নাতি-নাতনির সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের রসায়নই আলাদা। যুগ যুগ ধরে তাঁদের মধ্যে রয়েছে এক অটুট বন্ধন। জেনারেশন গ্যাপ কিংবা বয়সের ফারাক মোটেই এই মিষ্টি বন্ধুত্বের মধ্যে ফাটল ধরাতে পারে না। শাসনের পাশাপাশি অফুরান ভালবাসা, মাঝে মাঝেই বেশ বেয়াড়া আবদার মেনে নেওয়া কিংবা মন খারাপের দিনে অভিমান উজাড় করে দেওয়ার জায়গা, সবেতেই কিন্তু এই মানুষগুলোকেই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে।

এমনই এক দাদু-নাতনির মিষ্টি কথোপকথন এবার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই দাদু আবার বেশ টেকস্যাভি। তাই নাতনির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতেই কথাবার্তা বলেছেন তিনি। কোথায় নাতনির অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। কখনও বা বৃদ্ধ দাদু অতিরিক্ত মদ্যপান না করার পরামর্শ দিয়েছে নাতনিকে। তবে সবচেয়ে মজার হল নাতনির বিয়ে নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করার ধরন। এই নাতনির নাম মেগান এলিজাবেথ। নিজের দাদুর সঙ্গে কথোপকথনের বেশ কিছু স্ক্রিনশট তিনিই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। টিকটকে এইসব মেসেজ মেগানকে পাঠিয়েছিলেন তাঁর ৯১ বছরের দাদু। সেইসব মেসেজের স্ক্রিনশটই এখন ভাইরাল হয়েছে।

একটি মেসেজে দাদু নাতনিকে লিখেছেন, ‘২৯ বছরের মধ্যে যদি জীবনসঙ্গী খুঁজে না পাও, তাহলে নাকি একাই মরতে হবে। তিন মাসের মধ্যে তোমার জন্মদিন আসছে। আমি শুধু মনে করিয়ে দিলাম।’ এছাড়াও ছিল আরও কয়েকটি মেসেজ। মেগান কিন্তু বাধ্য মেয়ের মতো সব মেসেজেরই বেশ মিষ্টি করেই জবাব দিয়েছে। তবে তাঁর জবাব নয় বরং ৯০ পেরোনো বৃদ্ধের মেসেজই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজ়েনদের অনেকেই বলেছেন, তাঁদের দাদু যদি এমন করে পরোক্ষে প্রেমিক বা প্রেমিকা খুঁজে নেওয়ার পরামর্শ দিতেন, কতই না ভাল হত। কেউ বা বলেছেন, বয়স হলে কী হবে, এই দাদু মনের দিক থেকে এখনও ‘সুইট সিক্সটিন’।

দেখুন সেইসব মেসেজের স্ক্রিনশটের ভিডিয়ো

মেগানের সঙ্গে তাঁর দাদুর সম্পর্ক যে বেশ খুনসুটির তাও বোঝা গিয়েছে এইসব মেসেজ থেকে। সেই সঙ্গে একটা কথা বারবারই স্পষ্ট হয়েছে যে, মেগানকে বড্ড ভালবাসেন তাঁর দাদু। আর তাই বোধহয় মজা করে হোক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয়ে, নাতনির প্রতি নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য এবং ভালবাসা সবই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে রয়েছে দুষ্টুমি করার প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়ও।