পণপ্রথা (Dowry) এ দেশে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এই ভিডিয়ো যে অন্য কথা বলছে। বিবাহবাসরে পৌঁছে হবু বরের (Groom) হুমকি, সব চাহিদা না মিটলে বরযাত্রী নিয়ে ফেরত চলে যাবেন তিনি। মহারাষ্ট্র সরকারের পাবলিক রিলেশনস দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর এই ভিডিয়োটি ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন। ভাইরাল হওয়ার সেই ভিডিয়োতে পাত্রকে কিছু প্রশ্ন করা হচ্ছে। আর সে সবের উত্তর তিনি এক এক করে দিচ্ছেন। বলছেন, তিনি সরকারি কর্মচারী (Govt Employee) আর তাঁর বাবা একজন শিক্ষক। ভিডিয়ো যিনি করছিলেন, তিনি তখন জিজ্ঞেস করেন যে, শিক্ষিত হয়ে পণের কথা জিজ্ঞেস করতে লজ্জা লাগে না? হবু বরের সটান জবাব, সবাই নিচ্ছে, কেউ ধরা পড়ে না। তারপরই সে এক এক করে তাঁর দাবিগুলি সম্পর্কে জানায়, যেগুলি কন্যাপক্ষ তখনো পর্যন্ত দিয়ে উঠতে পারেনি। ১ লাখ টাকা নগদ, সোনার চেন, সোনার আংটি, অন্য আরও সোনার গয়না – এসবের কিছুই পাত্রপক্ষের কাছে পৌঁছয়নি বলে দাবি করেন তিনি। পাত্রী সে সময় বলে ওঠে, নগদ টাকা নিয়ে নাও আর গয়নাগুলি কয়েক দিন পরে দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু হবু বর তা শুনতে চায় না।
इन्हे “लज्जा” क्यों नहीं आती..? pic.twitter.com/IarAkFQCRv
— Dayanand Kamble (@dayakamPR) March 6, 2022
ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে ট্যুইটারের এই ভিডিয়ো। নেটিজেনরা এই ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনে ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছেন। ৬ মার্চ পোস্ট করা এই ভিডিয়োতে এর মধ্যেই ৫ লাখ ৭২ হাজারের কাছাকাছি ভিউ হয়েছে। আর কমেন্ট সেকশন তো ভরে গিয়েছে নেটাগরিকদের নানাবিধ মন্তব্যে। একজন ইউজার বললেন, “অসাধারণ! ওকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করা উচিৎ।” আর একজন ইউজার বললেন, “সরকারের যে দফতরেই এই ব্যক্তি চাকরি করেন, সেখান থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা উচিৎ। শুধু তাই নয়। তাঁর বাবাকেও উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া দরকার।”
ঘটনাটি বিহারের। তাই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ট্যুইটারে ট্যাগ করে একজন লিখছেন, “যৌতুক দাবি করা একটি অপরাধ। তা জানা সত্ত্বেও এই ভিডিয়োতে এক ব্যক্তি সরকারি অফিসে চাকরি করার কথা বলেও পণ চাইছে। প্রকাশ্যে যৌতুক দাবি করছে এবং যদি সে তা না পায় তবে বিয়ে বাতিল করারও হুমকি দিচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কী?”
আর একজন সমাধানসূত্র বাতলে দিয়ে বলছেন, “এই উপদ্রব তখনই থামবে যখন, মেয়ের বাবা-মা বাজার থেকে বর কেনা বন্ধ করবে! মা-বাবা কবে বুঝবেন, তাঁদের মেয়েই যথেষ্ট। পরিবর্তন দুই দিক থেকেই হতে হবে।” আর এক ইউজার লিখলেন, “২১ শতকে আমরা আধুনিক বিশ্বে বাস করছি। আমরা যখন ৪জি ব্যবহার করে ৫জি পরিষেবার অপেক্ষা করছি, তখন আমরা মনে করি যে, আমরা এখন আরও সভ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা তা নই। এই ঘটনাটি খুবই ভয়াবহ। আমরা নিজেদের মধ্যে, আমাদের সমাজে অনেক পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আশা করি, সেখানে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন: শরণার্থী শিবিরেই বার্থডে সেলিব্রেশন! স্বেচ্ছাসেবকদের আয়োজনে অবাক ইউক্রেনিয় একরত্তি
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে প্রেমের পরশ, ২২ বছরের ভালবাসা পূর্ণতা পেল কিয়েভের সেনা ছাউনিতে
আরও পড়ুন: মালাবদলের পর বরের সে কী রাগ! থাপ্পড় কষিয়ে দিলেন কনেকে, বিবাহবাসরে হাতাহাতি দেখে অতিথিরা হতভম্ব