Varanasi Clothing Shop: বারাণসীর একটি দোকানের সাইন বোর্ড নিয়ে টুইটারে কয়েকদিন ধরেই হইচই চলছে। দোকানের নাম ‘লখনউ চিকন হাউস’, এদিকে বেনারসের রাস্তায় এমন সাইন বোর্ড চকচক করছে। শুধু তাই নয়। আসল বিভ্রান্তির ঘটনা তো অন্য জায়গায়। দোকানের সাইন বোর্ডটিতে দেখা গিয়েছে একটি বিরাট ষাঁড়ের ছবি। তাই দেখেই নেটিজ়েনরা ভাবতে শুরু করেছেন, শেষে ‘চিকন’-এর দোকানে ষাঁড় বিক্রি করা হচ্ছে? তার উপরে আবার দোকানের বিজ্ঞাপনেও এত কারসাজি? কিন্তু এখানে কি ‘চিকন’ মানে চিকেন অর্থাৎ মুরগি বোঝানো হয়েছে, নাকি অন্য আরও কোনও ঘটনা রয়েছে এর পিছনে? যে টুইটার ব্যবহারকারী এই ছবিটি শেয়ার করেছেন, তিনিই আসল বিষয়টি খোলসা করেছেন।
টুইটারে অভিষেক মান্ডে ভোট নামের এক ব্যক্তি ছবিটি শেয়ার করেছেন। তার ক্যাপশনে অভিষেক লিখেছেন, “যার এই দোকান সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই, তাঁর কাছে বিষয়টি বিভ্রান্তি কর হতে পারে। দোকানের নামে রয়েছে লখনউ, কিন্তু তা বারাণসীতে। মুরগি বিক্রির দাবি করলেও এখানে ষাঁড়ের ছবি। দোকানটি আসলে কী বিক্রি করে?” এক্কেবারে সঠিক প্রশ্নই তুলেছেন ওই টুইটার ব্যবহারকারী। কিন্তু ‘চিকন’ দোকানে কেনই বা ষাঁড়ের ছবি, আর কেনই বা সেখানে জামাকাপড় বিক্রি করা হয়, সেই সব কিছু আমরা জেনে নেব।
For someone with no context, this can be so confusing. Name says Lucknow, but it’s in Varanasi. Claims to sell chicken but has a photo of a cow. What it actually sells? Clothes! ? pic.twitter.com/Vvneksfkjd
— Abhishek Mande Bhot (@manicmande) March 4, 2023
প্রথমেই আসা যাক চিকনের প্রসঙ্গে, যা শুনে চিকেনের মতো মনে হলেও আদতে তা কিন্তু নয়। কেন নয়? আপনারা নিশ্চয়ই চিকনকারির নাম শুনেছেন? না, চিকেন কারি নয়, চিকনকারি। লখনউ স্টাইলের একপ্রকার এমব্রয়ডারির সঙ্গে শ্যাডোর কাজকে বলা হয় চিকনকারি। এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারলেন যে, লখনউ চিকন কেন বলা হচ্ছে দোকানটিকে। এটাও নিশ্চয় পরিষ্কার হয়ে গেল যে, এই দোকানে জামাকাপড়ই বিক্রি করা হয়। কিন্তু তা বলে একটা জামাকাপড়ের দোকানে ষাঁড়ের ছবি কেন থাকবে, এখন সেটাই ভাবছেন তাই তো?
আর একজন টুইটার ব্যবহারকারীই সেই ধোঁয়াশা কাটিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এই ছবিতে এটি গরু নয়, ষাঁড়। প্রতিদিন এই দোকানে একটা ষাঁড় আসত এবং বসে থাকত দোকানের ভিতরে। কখনও দোকানদার বা কাস্টমারদের বিরক্ত করেনি ষাঁড়টি। দোকান মালিকের সঙ্গে ওই ষাঁড়টির খুব ভাল বন্ডিং তৈরি হয়েছিল। পশুটির মৃত্যুর পর দোকানের বোর্ডেই তার ছবি টাঙিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মালিক।”
এই দোকান এবং তার এই সাইনবোর্ড নেটিজ়েনদের এতটাই নজর কেড়েছে যে, কেউ কেউ সরাসরি ওই দোকানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “আমিও ধোঁয়াশার মধ্যে ছিলাম। দোকানের পাশ দিয়ে একদিন যাচ্ছিলামস সে দিন দোকানটা বন্ধ ছিল। পুরো ব্যাপারটা বুঝতে আমার অনেকক্ষণ সময় লেগেছিল।”