সমুদ্র সৈকতে বেরিয়েছিলেন এক ব্যক্তি, সপরিবারেই। হাঙর (Shark) দেখার পর যথারীতি আহ্লাদে আটখানা! আদর করে বসলেন। ব্যস! আর দেখে কে। খেলেন কামড় (Bitten)। এমন কামড় খেলেন যে, হাঙরের মুখটাই লাল হয়ে গেল। এদিকে তিনি এমন ভাবখানা করলেন, যা দেখে মনে হবে কিসসু হয়নি যেন। 11 সেকেন্ডের ছোট্ট এই ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে রেডিটে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সমুদ্রে একটি বোটে চড়ে যাচ্ছেন। এদিকে ওই হাঙরটিকেও সবেমাত্র জলে ছাড়া হয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ তিনি ওই হাঙরটাকে নিয়ে খেলা করলেন। তারপর হাতেই খেলেন কামড়। হাঙরের মুখ থেকে আঙুলগুলো বের করার অনেক চেষ্টা করলেন। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। অনেক চেষ্টার পর শেষে রক্তাক্ত হাতটা বের করলেন।
ওই বোটে আর যারা ছিলেন অর্থাৎ ব্যক্তির স্ত্রী, সন্তানরা এবং অন্যান্য সহযাত্রীরা ঘটনাটি দেখে একপ্রকার চমকে যান। কিন্তু সেই ব্যক্তির যেন কোনও বালাই নেই! হাতের সেই ক্ষত অংশ চুষতে থাকেন কেবল। আর তার সেই প্রতিক্রিয়াই যেন নেটদুনিয়ার মানুষজনকে একপ্রকার অবাক করে দিয়েছে।
একজন ইউজার লিখছেন, “ওই লোকটার অভিব্যক্তি দেখে আমি হেসেছি। যতটা না দেখেছি, তার থেকে বেশি হেসেছি। তাঁকে দেখে মনে হল যেন, কেবল বিরক্ত হয়েছেন, এর থেকে বেশি আর কিছুই না। আমি যখন দাঁতে করে নখ কামড়াই, আমার মুখটাও ঠিক ওরকমই থাকে।”
রেডিটে এই ভিডিয়োটি প্রায় 33,000-এরও বেশি ভোট পেয়েছে এবং 3,000-এরও বেশি কমেন্ট পড়েছে এই ভিডিয়োর।
যে হাঙরটিকে দেখা গিয়েছে এখানে, সেটি নার্স শার্ক। এগুলি আকারে অনেকটাই ছোট হয়। তবে এদের চোয়াল খুব শক্তিশালী এবং মুখে খুবই ধারালো দাঁত থাকে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মানুষকে সবথেকে বেশি কামড় দেয় যে মাছেরা, তাদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এই নার্স শার্ক প্রজাতি।