আস্ত একটা মোবাইল ফোন গিলে ফেলেছিলেন এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে জটিল অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, নোকিয়া ৩৩১০ ফোন গিলে ফেলেছিলেন বছর ৩৩- এর ওই যুবক। এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ইউরোপের Kosovo- তে। সেখানকার Pristina শহরের বাসিন্দা এই যুবক। ২০০০ সালের প্রথমদিকে এই ফোন তৈরি করেছিল নোকিয়া সংস্থা। লঞ্চের পর নোকিয়ার এই মডেল ‘brick’ ফোন নামে পরিচিত হয়েছিল। জানা গিয়েছে, গিলে ফেলার পর ওই যুবকের পাকস্থলীতে গিয়ে আটকে গিয়েছিল নোকিয়ার ফোনটি। তড়িঘড়ি তখন হাসপাতালে ছুটে যান যুবক। সেখানে ডক্টর Skender Telaku অস্ত্রোপচার করে ওই যুবকের পেট থেকে নিরাপদে মোবাইল ফোনটি বের করে আনেন।
অস্ত্রোপচারের আগে ওই যুবকের অনেক স্ক্যান এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছিল। সেই সময়েই চিকিৎসকরা বুঝেছিলেন এই মোবাইল যুবকের পেটে থাকা মোটেই নিরাপদ নয়। কারণ এই ফোনে রয়েছে একটি corrosive (ক্ষয়কারী) ব্যাটারি। এর মধ্যে রয়েছে অনেক ক্ষতিকারক রাসায়নিক। আর সেই কারণেই যত বেশিক্ষণ যুবকের পেটে ওই মোবাইল থাকত, সেটা তাঁর প্রাণনাশের কারণ হয়ে দাঁড়াত। শুধু তাই নয়, ডাক্তাররা স্ক্যানের পর জানিয়েছিলেন যে ওই মোবাইল যুবকের পক্ষে হজম করা মোটেই সহজ কাজ নয়। কারণ আকার-আয়তনে ওই ফোনের সাইজ বেশ বড়। তবে সফল ভাবেই যুবকের পেট থেকে মোবাইল বের করা সম্ভব হয়েছে। ডক্টর Skender Telaku- ও জানিয়েছেন যে যতক্ষণ না যুবকের পেট থেকে নিরাপদে মোবাইলটি বের করে আনা হচ্ছিল, ততক্ষণ চিন্তায় ছিলেন তিনিও। কারণ নোকিয়ার ওই মডেলের ব্যাটারির জেরে যুবকের মৃত্যুও হতে পারত। তবে এ যাত্রায় কোনও অঘটন ঘটেনি।
কিন্তু ওই যুবক কেন মোবাইল গিলে ফেলেছিলেন তা জানা যায়নি। যুবক নিজে থেকে কিছুই জানাননি। ডাক্তারদের তরফে এ ব্যাপারে কোনও আলোকপাত করা হয়নি। তাঁরা কেবল জানিয়েছেন যে অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে যুবক কেন একটা গোটা মোবাইল গিলে ফেলেছিলেন তা স্পষ্ট হয়নি। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় এই ব্যাপারে কৌতূহল প্রকাশ করেছেন নেটিজ়েনরাও। তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন কেস স্টাডি করার পর দেখা গিয়েছে গত কয়েক বছরে একাধিকবার অনেকেই মোবাইল গিলে ফেলেছেন। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ২৯ বছরের এক যুবক মোবাইল গিলে ফেলেছিলেন। দীর্ঘক্ষণ তাঁর পেটেই ছিল ফোন। পরে অস্ত্রোপচার করে তা বের করা হয়।