Latest Viral Video: আপনি হয়তো অনেক ধরনের বার্গার, টিক্কি চেখে দেখেছেন! ভেজ থেকে নন-ভেজ হরেক কিসিমের বার্গার বাজারে পাওয়া যায়। এমনকি, স্বাস্থ্যের দিকে অধিক নজর যাঁদের, তাঁদের জন্য বেকড বার্গারও তৈরি হচ্ছে। বার্গারের আসল অংশ হল তার ভিতরের ভাগটা, যাকে টিক্কি বলা হয়। আসলে, সেই টিক্কিটাই বিভিন্ন রকমের তৈরি হয়। শুকনো টিক্কি যেমন অনেকের মুখে রোচে না, তেমনই আবার মাংসের টিক্কি অনেকের রসালো মনে হয়। কিন্তু এবার যে রকম টিক্কি তৈরি হল, তা দেখার পরে নেটিজ়েনদের চোখ কপালে উঠেছে। কুচকুচে কালো রঙের সেই টিক্কি তৈরি হয়েছে মশা (Mosquito Burger) দিয়ে। অদ্ভুত সেই রেসিপির একটি ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
বার্গারের ভিতরে দেওয়া চিকেন বা মাটন টিক্কি আপনি নিশ্চয়ই খেয়েছেন! আবার এগ বার্গারও আমাদের অনেকেরই প্রিয়, যার ভিতরে থাকে ডিমের টিক্কি। বাইরের অনেক দেশে গরু বা শুয়োরের মাংসেরও টিক্কি তৈরি হয় বার্গারের পুর হিসেবে। কিন্তু বিশ্বে এমন দেশও আছে, যেখানে বার্গারের টিক্কি তৈরি হয় মশা দিয়ে। তবে তা উদ্ভট হিসেবে মানুষের সামনে আনা বা অন্যরকমের স্বাদ তৈরির থেকে অনেকাংশেই বিজ্ঞানভিত্তিক কারণে তৈরি হয়। জানলে অবাক হবেন, সেই বার্গার সম্পূর্ণরূপে প্রোটিন দ্বারা পরিপূর্ণ। অর্থাৎ মশা দিয়ে তৈরি সেই বার্গার খাওয়ার পরে আপনার শরীরে আর প্রোটিনের অভাব হবে না।
শুধু ভারত কেন! বর্ষায় মশার উপদ্রব বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই। আফ্রিকান গ্রেট লেকদের মধ্যে অন্যতম হল লেক ভিক্টোরিয়া, যার চারপাশে অনেক মশা জন্মাতে শুরু করে বর্ষা এলেই। সেই মশা থেকেই পরিত্রাণ পেতে এলাকার মানুষজন একটি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করেন। মশা মারার জন্য তাঁরা কোনও কীটনাশক ব্যবহার করেন না। তার পরিবর্তে সেই মশাগুলিকে একটি পাত্রে বন্দি করে রাখেন। সেই এককাট্টা করে রাখা প্রচুর পরিমাণ মশা থেকেই তারপর বার্গারটি তৈরি হয়।
মশা দিয়ে তৈরি এই বার্গারের টিক্কির রং কালো। একটি টিক্কি তৈরি করতে প্রায় পাঁচ লাখ মশা ব্যবহার করা হয়। সমস্ত মশাগুলিকে একসঙ্গে মাখিয়ে তারপর সেটিকে টিক্কির আকার দেওয়া হয়। প্রথমে কম আঁচে সেগুলিক সেঁকে নেওয়া হয়। যাঁরা খাবারে প্রোটিনের অভাবে সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই টিক্কি খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই টিক্কিতে সাধারণ মুরগির মাংসের চেয়ে বহুগুণ বেশি প্রোটিন রয়েছে। তবে আফ্রিকার কয়েকটি এলাকায় এটি খাওয়া হয়। আর তাছাড়া বিশ্বের অন্যত্র এই ধরনের টিক্কি বা বার্গার খুবই কম খাওয়া হয়।