Watch: অবিশ্বাস্য! নিজের সন্তানকে বিক্রি করতে মরিয়া, ভাইরাল পাকিস্তানের পুলিশকর্মী

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Nov 18, 2021 | 1:28 PM

Pakistan, Police men, এই ভিডিয়োতে যে অসহায় পুলিশকর্মীকে দেখা গিয়েছে, জানা গিয়েছে ব্যক্তির নাম নিসার লসারি। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ঘোটকি জেলার কারা দফতরে তিনি কাজ করেন।

Watch: অবিশ্বাস্য! নিজের সন্তানকে বিক্রি করতে মরিয়া, ভাইরাল পাকিস্তানের পুলিশকর্মী
ছবি: টুইটার

Follow Us

সিন্ধ: বুধবার, প্রকাশ্যে এল এক অবিশ্বাস্য ভিডিয়ো! পাকিস্তান পুলিশের উর্দি পরিহিত এক ব্যক্তি ধরা পড়লেন ক্যামেরায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছে দুই শিশু। প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তারস্বরে চিৎকার করছেন ওই ব্যক্তি। রাস্তায় চলাফেরা করা লোকেদের উদ্দেশে ওই পুলিশ কর্মীর আবেদন, তিনি তাঁর সন্তানদের বিক্রি করতে চান। সন্তানদের বাজরদর পাকিস্তানি টাকায় ৫০ হাজার টাকা। তিনি জানিয়েছেন, এটা ছাড়া তাঁর কাছে আর কোনও উপায় অবশিষ্ট নেই, তাঁর টাকার প্রয়োজন। কিন্তু কেনও প্রয়োজন টাকার? সেই উত্তরও মিললো। ওই পুলিশকর্মী জানালেন, তার বসদের ঘুষ দিতে হবে বলেই তাঁর হঠাৎ করেই অর্থের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। নিজের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘুষ না দিলে মিলবে না ছুটি, ছুটি না পেলে তিনি নিজের সন্তানকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারবেন না। দেখে নিন ঘটনার ভিডিয়ো…

এই ভিডিয়োতে যে অসহায় পুলিশকর্মীকে দেখা গিয়েছে, জানা গিয়েছে ব্যক্তির নাম নিসার লসারি। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ঘোটকি জেলার কারা দফতরে তিনি কাজ করেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এই ভিডিয়ো প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তাঁর এই মরিয়া হয়ে ওঠার নেপথ্য কাহিনী জানা গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই অসহায় অবস্থার কারণেই তিনি এই কাজ করতে বাধ্যে হয়েছেন, নইলে নিজের সন্তানদের কেইবা বিক্রি করে দিতে চায়। জানা গিয়েছে নিজের অফিসের বসেদের কাছে চিকিৎসার জন্য ছুটি চেয়ে তিনি আবেদন করেছিলেন, মেলেনি ছুটি তার পরিবর্তে কর্তারা তাঁরা কাছে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেছে এবং ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে ১২০ কিলো মিটার দূরে বদলি করে দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

তাঁর প্রশ্ন, “কেন ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ার কারণে আমাকে বদলি করে দেওয়া হল? আমি এতটাই গরীব যে এই বিষয়ে কারা বিভাগের প্রধান কর্তার কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য করাচিতে যাওয়ার সামর্থ্যও আমার নেই। এখানের বসরা প্রভাবশালী, সাধারণ তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়না।”

তিনি আরও বলেন, “আমি কি তাদের ঘুষ দেওয়ার জন্য টাকা জোগাড় করব নাকি আমার সন্তানের অপারেশনের জন্য টাকার বন্দোবস্ত করব? আমি কী শুধু আমার দায়িত্বই পালন করে যাব? সন্তানের ওপর কি আমার কোনও দায়িত্ব নেই? প্রথমে আমি আমার নিজের অবস্থা ছাড়া কোনও কিছুই ভাবিনি পরবর্তীকালে বুঝতে পারি সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে নিজের বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ।”

এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। হস্তক্ষেপ করেন সিন্ধের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ। জানা গিয়েছে ওই পুলিশকর্মীকে তাঁর আগের পদেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সন্তানের চিকিৎসা করানোর জন্য তাঁর ১৪ দিনের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন ভুল হাতে পড়লে যুব সমাজকে নষ্ট করে দিতে পারে ক্রিপ্টোকারেন্সি’, আগাম সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

Next Article