Viral Video: ইচ্ছে নেই তবুও বক্সিং ক্লাস, বাতাসেই চলছে কিল-চড়-ঘুষি! বাবা-মা নিশ্চয়ই জোর করে পাঠিয়েছে, দাবি নেটিজ়েনদের

Little Boy Kickboxing Video: কটি বাচ্চা ছেলের কিকবক্সিংয়ের কায়দা ইন্টারনেট-বাসীদের মন জয় করে নিয়েছে। তার ঘুষি বা কিক মারা কায়দা নয়, বরং তার অভিব্যক্তিই অনেককে হাসিয়েছে।

Viral Video: ইচ্ছে নেই তবুও বক্সিং ক্লাস, বাতাসেই চলছে কিল-চড়-ঘুষি! বাবা-মা নিশ্চয়ই জোর করে পাঠিয়েছে, দাবি নেটিজ়েনদের
ইচ্ছে না থাকলে যেমন অভিব্যক্তি দেখা যায়!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2022 | 8:55 PM

কিকবক্সিং (Kickboxing) যদি আপনি কখনও দেখে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই খেয়াল করবেন যে এর থেকে হাইব্রিড মার্শাল আর্ট আর কিছু হয় না। বক্সিংয়ে ব্যবহৃত সমস্ত কৌশলগুলি একত্রিত করতে হয় এখানে। বিশেষ করে, যখন পাওয়ার-প্যাকড চাল চালার প্রসঙ্গে আসে। এবার একটি বাচ্চা ছেলের কিকবক্সিংয়ের কায়দা ইন্টারনেট-বাসীদের মন জয় করে নিয়েছে। তার ঘুষি বা কিক মারা কায়দা নয়, বরং তার অভিব্যক্তিই অনেককে হাসিয়েছে। আর ছোট্ট ছেলেটার সেই দুঃখজনক অভিব্যক্তিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল (Viral Video)।

এই ভিডিয়ো দেখে অনেকে ফিরে গিয়েছেন ছোটবেলায়। বাবা-মায়েরা যখন সন্তানদের জোর জবরদস্তি ক্যারাটে বা বক্সিং ক্লাসে পাঠায়, সেরকম একটা পরিস্থিতির উদাহরণ টেনে এনেছেন অনেকে। নিজের শেখার আগ্রহ থাকুক আর না-ই বা থাকুক, বাবা-মা যখন বলে দিয়েছেন, তখন ক্যারাটে শিখতেই হবে।

ভাইরাল ভিডিয়োতে একটি ছেলেকে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে কিকবক্সিং ক্লাসে মনোনিবেশ করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এই ভিডিয়োর নায়ক সে নয়! ক্যামেরা যখন জ়ুম করে, তখন নজরে আসে আর একটি ছোট ছেলের অভিব্যক্তি। ভগ্ন হৃদয়ে সে কেবল বাতাসেই কিল-চড়-ঘুষি মেরে চলেছে একের পর এক। একটা সময় মনে হয়, সে যেন যে কোনও মুহূর্তে কান্নায় ভেঙে পড়বে। তারই পিছনে থাকা তৃতীয় আর একটি ছেলেকে হাসতে দেখা যায় একরত্তির কাণ্ড দেখে। পাশের একজন আবার তাকে চুপও করতে বলে।

ফিগেন নামের এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী এই ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখছেন, “যখন আপনার বাবা-মা আপনাকে কিছু করতে বাধ্য করেন।” যদিও অনেক নেটিজ়েন ছেলেটির মেজাজকে অন্যান্য বাস্তব-জীবনের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছেন। কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন যে, শিশুটিকে উন্নত ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা করা ঠিক নয়।

“যখন আমার কিছুই ভাল লাগে না, কী করা উচিৎ ভেবে পাই না, তখন বাতাসে ঘুষি মারি”, একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন। অন্য একজন লিখেছেন, “যখন আপনি একজন শিক্ষানবিশকে ওয়েল ট্রেইন্ড কারও পাশে রাখেন, তখন এমনটাই ঘটে। এটা সম্পূর্ণ শিক্ষকদের দোষ। নিরুৎসাহিত করার মতো পরিস্থিতি। ছোট বেলায় জ্যাকি চ্যানের সঙ্গেও যে এমনটা হয়নি, কে বলতে পারে!” তৃতীয় একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “মা-বাবা নিশ্চয়ই জোর করে এই ক্লাসে পাঠিয়েছে। তারপরে পাশের বন্ধুরা ব্যঙ্গবিদ্রুপ করছে। এই ভিডিয়ো কোনও দিক থেকেই মজাদার নয়।”