ঠান্ডাটা জাঁকিয়েই পড়ে গিয়েছে। আর শীতকাল মানেই বিয়ের মরসুম। আর এই ভরা বিয়ের মরসুমে সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে যায় ওয়েডিং ফটোশুট থেকে শুরু করে এক্কেবারে বিয়ের রিসেপশনের ছবি বা ভিডিয়োতে। তার মধ্যে এমন অনেক ভিডিয়োই থাকে, যেগুলো দেখলে আমরা হাসি চেপে রাখতে পারি না। তারপরে আবার বিয়েবাড়িতে নাচ-গানের মজাদার সব ভিডিয়ো তো থাকেই, যেগুলো ভীষণ ভাইরালও হয়। তবে এবার বিয়েবাড়ির বাইরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, একটি বিয়েবাড়ির বাইরে জ়োম্যাটোর এক ডেলিভারি এজেন্ট নাচছেন। নয়ের দশকের জনপ্রিয় গান ‘সপনে মে মিলতি হ্যয়’-এ মনের আনন্দে তিনি নাচছিলেন।
পুলকিত কোছার নাম এক ব্যক্তি ইনস্টাগ্রামে এই ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, জ়োম্যাটো টি-শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি বিয়েবাড়ির ঠিক সামনেই ‘সত্যা’ ছবির জনপ্রিয় গান ‘সপনে মে মিলতি হ্যয়’ গানে নাচছেন। ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ‘হোলসাম’। ভিডিয়োর টেক্সটে লেখা হয়েছে, ‘মিউজ়িকের কোনও বাউন্ডারি নেই’।
একটা দেওয়াল যেন আলাদা করছে ওই জ়োম্যাটো ডেলিভারি বয় এবং বিয়েবাড়ির সদস্যদের। একদিকে যেখানে বিয়েবাড়িতে বিরাট আড়ম্বর, নামীদামি ব্র্যান্ডের পোশাকে, অতি আতিশয্যে তথাকথিত বড়লোকরা নিজেদের মতো করে আনন্দে মশগুল, ঠিক সেখানেই দেওয়ালের অন্য পারে নিজের মতো করেই ওই একই গানে হাফ প্যান্ট, জ়োম্যাটো টি-শার্ট পরে খালি পায়েই নাচছেন আতিশয্যহীন এক ব্যক্তি। সেই প্রাচীরই যেন নজর কেড়েছে নেটিজ়েনদের। কেউ কেউ ভিডিয়োর ক্যাপশনে বলেও দিয়েছেন, “এই ভিডিয়োই পরিষ্কার করে দিচ্ছে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি।”
সে যে যাই বলুক না কেন! ওই জ়োম্যাটো ডেলিভারি বয় তো আনন্দ পেয়েছেন, এর থেকে বেশি আর কী-ই বা চাওয়ার থাকতে পারে। আর নেটিজ়েনদের অনেকেই ওই ব্যক্তির আনন্দেই আনন্দিত হয়েছেন। তার প্রমাণ মিলেছে ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনে।
ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়োর ভিউ এর মধ্যেই 50 হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রায় 5,000 এরও বেশি লাইক পড়েছে এখনও পর্যন্ত। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “ভাল মিউজ়িক শুনলেই আমার এরকম ভাবেই নাচতে ইচ্ছে করে।” আর একজন যোগ করলেন, “আমি যদি ওকে এভাবে নাচতে দেখতাম, তাহলে খাবার খেতে আসার জন্যও একদিন আমার বাড়িতে ডাকতাম।”