টাইটানিকের ‘অল্টারনেট এন্ডিং’ ভাইরাল টুইটারে, ‘সিনেমা বরবাদ করার জন্য যথেষ্ট’, বলছেন নেটিজ়েনরা
নেটাগরিকদের সকলেই বলছেন, যে জেমস ক্যামেরন '৯৭ সালের টাইটানিক তৈরি করেছেন, তিনি কীভাবে এমন অদ্ভুত এবং হাস্যকর 'এন্ডিং' ভাবতে পারেন?
জেমস ক্যামেরনের ছবি টাইটানিক। ১৯৯৭ সালে রিলিজ হওয়া এই সিনেমায় একইসঙ্গে নিখুঁত ভাবে দেখানো হয়েছিল প্রেম আর বিরহের মুহূর্ত। ২৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ছবির শেষ দৃশ্য মনে রয়েছে অনেকেরই। যেখানে দেখা গিয়েছিল জাহাজের ডেকের উপর একা দাঁড়িয়ে রয়েছেন রোজ। ভারাক্রান্ত মনে ‘হার্ট অফ দ্য ওশান’, নীল রঙের হিরের লকেট সমেত হারটি সমুদ্রে ফেলে দেন তিনি।
এই দৃশ্যেরই একটি পরিবর্তন দৃশ্য বা অল্টারনেট সিন এ বার ভাইরাল হয়েছে টুইটারে। প্যাট ব্রেনান নামে জনৈক ব্যক্তি টুইটারে শেয়ার করেছেন এই ভিডিয়ো। যা দেখে হেসে গড়াচ্ছেন টুইটারিয়ানরা। সেই সঙ্গে প্রায় সকলেই বলছেন, “ছবিটি বরবাদ করে দেওয়ার জন্য এই একটা দৃশ্যই যথেষ্ট ছিল। ভাগ্যিস সেই সময় ছবির শেষ দৃশ্যে এই ভাবনা রাখেননি পরিচালক।“ অনেকে আবার এও বলেছেন, “যে জেমস ক্যামেরনের পরিচালনায় অত সুন্দর একটা ছবি তৈরি হয়েছিল, তিনি কীভাবে এমন বোকা এবং হাস্যকর ‘এন্ডিং’ ভাবতে পারেন?”
The alternate ending to Titanic is hilarious. This would have absolutely ruined the film for me pic.twitter.com/L3vSrSb72e
— Pat Brennan (@patbrennan88) February 16, 2021
কী দেখানো হয়েছে টাইটানিকের অল্টারনেট লাস্ট সিনে?
দেখা গিয়েছে, ডেকের ওপর রোজের সঙ্গে হাজির রয়েছে গুপ্তধন সন্ধানী ব্রক লভেট এবং তাঁর টিম। তাঁদের সামনেই দুষ্প্রাপ্য হিরেখচিত ওই হার সমুদ্রে ফেলে দিলেন রোজ। তার আগে অবশ্য একবার লভেটের হাতে ওই হার দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেছেন, “ভুল জায়গায় গুপ্তধনের সন্ধান করছ মিস্টার লভেট। আসলে আমাদের জীবনটাই অমূল্য। তাই প্রত্যেকটা দিন গুনে রাখো।” বৃদ্ধার সমুদ্রে হার ফেলে দেওয়ার কাণ্ড দেখে চারপাশ থেকে সকলে রে রে করে উঠলেও, সে সবে মোটেও পাত্তা দেননি বৃদ্ধা রোজ।
ইতিমধ্যেই ১৩ লক্ষের বেশি ভিউ হয়েছে এই ভিডিয়োতে। ৪৩ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে। হাসির রোলও উঠেছে নেট দুনিয়ায়। তবে বেশিরভাগ নেটাগরিকই বেশ বিরক্ত হয়েছেন অত সুন্দর সিনেমার এমন অল্টারনেটিভ লাস্ট সিন দেখে। কেউবা বলেছেন, “আমরা সত্যিই হতবাক”।