বালুরঘাট : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে ফের শক্তিবৃদ্ধি তৃণমূলের (Trinamool Congress)। বালুরঘাটের ডাঙা অঞ্চল তৃণমূলের তরফ থেকে বড়সড় যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। শুক্রবার বিকালে বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাম ও বিজেপি ছেড়ে প্রায় ৩০০ টি পরিবার যোগ দিল তৃণমূলে৷ সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার। এছাড়াও যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান নিখিল সিংহ রায়, মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নামিজুর রহমান, বালুরঘাট ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বপন বর্মন সহ অন্যান্য জেলা ও ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বরা।
এদিন মূলত বালুরঘাটের একটি ক্লাবের সদস্যরা ও ডাঙা অঞ্চলের বিভিন্ন বুথ এলাকার ৩০০টি পরিবার বাম, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে। মূলত, বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশিরভাগই সদস্যই বিজেপির। সম্প্রতি এই গ্রাম পঞ্চায়েতে নতুন করে বিজেপির প্রধান নির্বাচিত হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই নতুন যোগদান তৃণমূলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে তৃণমূলে যোগদান কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বরা। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে বিজেপি ছেড়ে যোগদানের কথা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, “আজকে নেতাজি স্মৃতি ক্লাবের অধিকাংশ সদস্যরা তৃণমূলে যোগাযোগ করলেন। এ ছাড়াও পুরো ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় সব বুথ থেকেই বিজেপি ও বামদের প্রায় ৩০০ পরিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। এখানে বিজেপির দখলে পঞ্চায়েত থাকলেও আগামী নির্বাচনে কোন লাভ হবে না বিজেপির।”
অন্যদিকে সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী সন্তু সিং বলেন, “ক্লাবের সদস্যরা সেভাবে কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে আজ সকলে তৃণমূলে যোগদান করলেন। স্থানীয় এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে ক্লাবের অধিকাংশ সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।” অন্যদিকে পালটা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “বিজেপির কোন সদস্যই তৃণমূলে যোগ দেয়নি। যে ক্লাব যোগদান করেছে, তারাও বিজেপির কেউ না। তবে তৃণমূল এর আগেও নিজেদের কর্মীদেরই যোগদান করিয়ে লোক হাসিয়েছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের দখলে, বিধানসভাতেও আমরাই লিড দিয়েছি। আগামী পঞ্চায়েতেও আমরাই জিতব।”