রানিনগর: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে হাত মজবুত হচ্ছে কংগ্রেসের। রবিবার অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করলেন রানিনগর-২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি জাহাঙ্গীর ফকির, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী। প্রায় ৫০০ তৃণমূল কর্মী এদিন দলে যোগদান করেছেন বলে দাবি কংগ্রেসের। আর এটাই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ‘নতুন মডেল’ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তাঁর কথায়, “তৃণমূলের আক্রমণের প্রতিবাদ করছে নিরস্ত্র মানুষ। এটাই মুর্শিদাবাদের নতুন মডেল। লালবাগ, নওদা থেকে রানিনগরে দলে দলে সাধারণ মানুষ তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন।” আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস জয়ী হবে বলেও দাবি অধীর চৌধুরীর।
এদিন বিকালে রানিনগর-২ নম্বর ব্লকের শেখ পাড়ায় কংগ্রেসের একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই জনসভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেখানেই রানিনগর-২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি জাহাঙ্গীর ফকির সহ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী অধীর চৌধুরী থেকে হাত পতাকা হাতে তুলে নেন। এদিন এত মানুষ কংগ্রেস যোগদান করবেন, তা তিনি কল্পনাও করেননি জানিয়ে অধীরের দাবি, “রানিনগরে ৮০ শতাংশ মানুষ কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। এখন আমরা শুধু যোগদান করাচ্ছি।”
পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাস হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। এপ্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির জবাব, “সবচেয়ে বেশি মুর্শিদাবাদের মানুষ তৃণমূলের বিরোধিতা করছে বলেই এখানে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাস হচ্ছে।” মুর্শিদাবাদে ‘তৃণমূলের দিন শেষ’ বলেও দাবি জানান তিনি। যদিও বাইরন বিশ্বাসের মতো কেউ কংগ্রেসে জিতলেও শেষ পর্যন্ত তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে দাবি শাসকদলের। এই দাবি খারিজ করে দিয়ে অধীর চৌধুরীর পাল্টা জবাব, “বারবার ঘুঘুতে ধান খাবে না।”