‘যাদের জন্য অকৃতদার থেকে কাজ করেছি, তারা ফোন করেনি কিন্তু অমিতজী করেছেন’

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Dec 19, 2020 | 6:39 PM

শুভেন্দুর আগের দিনের বক্তব্যে রাজনীতির কোনও ছোঁয়া না থাকলেও এদিন তিনি 'অবিবাহিত' থাকার কারণ হিসেবে দলের নেতা-নেত্রীদের দিকেই আঙুল তুলেছেন। যার মাধ্যমে খানিক রাজনীতির খোঁচাও দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে

যাদের জন্য অকৃতদার থেকে কাজ করেছি, তারা ফোন করেনি কিন্তু অমিতজী করেছেন
শুভেন্দুর গলায় ফের 'অকৃতদার' কথা, এবার সাবেক দলের প্রতি অভিমানী সুরে

Follow Us

মেদিনীপুর: মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর অরাজনৈতিক মঞ্চে উঠেই দিনকয়েক আগে বলেছিলেন, কেন তিনি ‘অকৃতদার’। কেনই বা এখনও বিয়ে করেননি। এদিন বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভামঞ্চে ফের একবার ‘অকৃতদার’ কথাটি উঠে এল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কণ্ঠে। সঙ্গে সদ্য প্রাক্তন দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ ও অভিমানও প্রকাশ পেল। তবে শুভেন্দুর এদিনের বক্তব্যে ‘অকৃতদার’ প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রতি কিছুটা হলেও রাজনৈতিক খোঁচা মেশানো ছিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

শনিবার কলেজ মাঠের সভায় অমিত শাহের আগে বক্তব্য রাখতে উঠেছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই কিছুটা অভিমানের সুরে তিনি বলেন, তাঁর যখন করোনা হয়েছিল তখন তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ তাঁর খোঁজ নেয়নি। ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শুভেন্দু বলেন, ‘যখন আমি কোভিডে আক্রান্ত হই, আমার দলের লোকেরা যাদের জন্য ২১ বছর করেছি। যাদের জন্য অকৃতদার থেকে গ্রামে গ্রামে ঘুরেছি। তারা আমার খোঁজ নেয়নি। অমিতজী আমার খোঁজ দু’বার নিয়েছেন। তাঁকে আমি কোটি কোটি প্রণাম জানাই।’

আরও পড়ুন: ‘খবরদারি করব না, মাতব্বরিও করব না’, শাহি মঞ্চে আশ্বস্ত করলেন শুভেন্দু

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গত ১৫ ডিসেম্বর হলদিয়ায় স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ সামন্তর জন্মদিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু। সেখানে নিজেই এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেছিলেন, ‘অনেকে বলেন শুভেন্দু অকৃতদার কেন। ভাইরা তো বিয়ে করেছে। আমি বলি, আমি বর্তমান যুগের রাজনীতিবিদদের দেখে অকৃতদার নই। আমি সতীশ সামন্ত, সুশীল ধারা, অজয় মুখোপাধ্যায়ের জীবনী পড়ে অকৃতদার। তাঁদের লেখায় বলে গিয়েছেন, ‘দিবি যদি সবটা দে, পুরোটা দে’। সেই মন্ত্রে আমি দীক্ষিত।’

আরও পড়ুন: মেদিনীপুর যেন ‘ব্রিগেড’! বিজেপি নেতা শুভেন্দুর ডাকে গেরুয়া ঢেউ কলেজ মাঠে

লক্ষণীয় বিষয় হল, শুভেন্দুর আগের দিনের বক্তব্যে রাজনীতির কোনও ছোঁয়া না থাকলেও এদিন তিনি ‘অবিবাহিত’ থাকার কারণ হিসেবে দলের নেতা-নেত্রীদের দিকেই আঙুল তুলেছেন। যার মাধ্যমে খানিক রাজনীতির খোঁচাও দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা তাঁর এদিনে মন্তব্যকে একপ্রকার সেভাবেই দেখছেন।

আরও পড়ুন: শুভেন্দু ‘বিশ্বাসঘাতক’, ভাইপোর নাম নেওয়ার ‘বুকের পাটা’ নেই: কল্যাণ

Next Article