শুভেন্দু-অমিত যোগসাজশ ছিল বলেই পর্যবেক্ষক থেকে সরানো হয়, ফাঁস করলেন কল্যাণ

কলকাতা: মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিজেপিতে যোগদান ও অমিত শাহের সভা শেষ হতেই পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটল তৃণমূল (TMC)। এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু তোলাবাজ ‘ভাইপো হটানোর’ ডাক দিয়েছিলেন। পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বললেন, ‘এতটুকু বুকের পাটা নেই যে ভাইপোর নাম নেবে’। বিকেলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে বিশ্বের […]

শুভেন্দু-অমিত যোগসাজশ ছিল বলেই পর্যবেক্ষক থেকে সরানো হয়, ফাঁস করলেন কল্যাণ
শুভেন্দু 'বিশ্বাসঘাতক', ভাইপোর নাম নেওয়ার 'বুকের পাটা' নেই: কল্যাণ
Follow Us:
| Updated on: Dec 19, 2020 | 8:34 PM

কলকাতা: মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিজেপিতে যোগদান ও অমিত শাহের সভা শেষ হতেই পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটল তৃণমূল (TMC)। এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু তোলাবাজ ‘ভাইপো হটানোর’ ডাক দিয়েছিলেন। পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বললেন, ‘এতটুকু বুকের পাটা নেই যে ভাইপোর নাম নেবে’।

বিকেলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে বিশ্বের সবথেকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ পার্টি বলে দাবি করেন কল্যাণ। সভায় লোক হয়নি বলেও কটাক্ষ শোনা যায় তাঁর গলায়। অমিতের পাল্টা দিয়ে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও দলবদল করেননি। কংগ্রেস থেকে তাঁকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। তারপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেস দল তৈরি করেন। আজকের সভা ফ্লপ বলেও আখ্যা দেন কল্যাণ।

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘শুভেন্দু বিশ্বাসঘাতক। তৃণমূল দল অনেক সম্মান দিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। পাঁচ জেলার পর্যবেক্ষক করা হয়েছিল। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারটা ছেড়ে দিলে উনি সম্মানিত হবেন? আমাদের দল যখন পচেই গেছে তাহলে উনি দলে ছিলেন কোন? সব কিছু সুবিধে ভোগ করার পর ওনার বোধোদয় হল?’ প্রশ্ন করেন তিনি। এমনকী মেদিনীপুর জেলার মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যে বলার অভিযোগ তোলেন কল্যাণ। তাঁর বিশ্বাস, মেদিনীপুরের মানুষ এগুলো বিশ্বাস করবেন না।

আরও পড়ুন: শাহর সভায় শুভেন্দু! গণযোগদানের তালিকায় নাম সাংসদ, বিধায়ক সহ কমপক্ষে ৪০ নেতানেত্রীর

২০১৪ সালের পর থেকেই তৃণমূল বুঝতে পেরেছিল যে অমিত শাহের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর যোগাযোগ রয়েছে। শনিবার এহেন চাঞ্চল্যকর দাবি করতে শোনা যায় কল্যাণকে। আর নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছিল বলেই পর্যবেক্ষক পদটি তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে আগ্রহী নন।

অন্যদিকে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা যায়, সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছে শুভেন্দু। আমি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত ফোন করেছি ওঁকে। এখন ধান্দাবাজদের দলে ঢুকে মিথ্যা কথা বলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকেও নিশানায় নিয়ে বলেন, কৃষক মেরে কৃষক প্রেম, অমিত শাহ-বিজেপি শেম শেম। হরিয়ানা, পাঞ্জাব, দিল্লিতে কৃষক মরছে। আর অমিত শাহ এখানে কাঁদছেন। নাটক করতে এসেছেন। নাটক উনি ভালই পারেন। আগে ওখানে গিয়ে কৃষকদের পা ধুয়ে দিক। তারপর এখানকার কৃষকদের নিয়ে ভাববে।

আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিয়েই প্রথম ভাষণে যে ৯ বাণে মমতাকে বিঁধলেন শুভেন্দু