Alipurduar: পড়ে আছে একগুচ্ছ পোড়া সার্টিফিকেট, বাড়ির ভিতর ছেলে-মা-ভাইপোর লাশ, ফের ট্যাংরা-কাণ্ডের ছায়া
Alipurduar: বিনোদ ওরাও জানিয়েছেন, তিনি এদিন ভোরে কাজে বেরিয়ে যান। হঠাৎ তাঁর কাছে খবর যায় যে বাড়িতে তাঁর মা, ছেলে ও ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

আলিপুরদুয়ার: ফের একই পরিবারের একাধিক সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার। চাঞ্চল্য ছড়াল আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে। বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক সার্টিফিকেট। এক সদস্যকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুজনের দেহ পড়েছিল ঘরের মেঝেয়। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মাহুতের পরিবারে এমন ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরা।
জানা গিয়েছে, মাদারিহাট রেঞ্জ কার্যালয়ে সামনে বিনোধ ওরাঁও-এর আবাসন। তিনি জলদাপাড়ায় মাহুতের কাজ করেন। ওই আবাসন থেকেই আজ, সোমবার সকালে বিনোদের ভাই রবি ওরাও-এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আর বিনোদের মা বিবি লোহার ও বিনোদের ১৩ বছরের সন্তান বিবেক ওরাও-এর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
বিনোদ ওরাও জানিয়েছেন, তিনি এদিন ভোরে কাজে বেরিয়ে যান। হঠাৎ তাঁর কাছে খবর যায় যে বাড়িতে তাঁর মা, ছেলে ও ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত সবই স্বাভাবিক ছিল। বিনোদ তাঁর দুই সন্তান, তাঁর স্ত্রী, তাঁর মা ও ভাই খাওয়াদাওয়া সারেন প্রতিদিনের মতোই। রাতে ঘুমোতে যান তাঁরা। এরপর কী হয়, কেউ জানেন না।
পুলিশ জানিয়েছে, রাতে রবি তাঁর সমস্ত শংসাপত্র জ্বালিয়ে দেন ঘরের পিছনে গিয়ে। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবি অনেকদিন থেকে চাকরি জন্য আবেদন করছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন বনকর্মী। তারপরও চাকরি না পাওয়ায় কি রবি আত্মঘাতী হন? প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে বাকি দুই সদস্যের মৃত্যু হল কীভাবে? রীতিমতো ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে মাদারিহাট থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
