School Reopen: ছড়িয়ে ছিটিয়ে শুকনো পাতা, ময়লা! তারই মাঝে মিড ডে মিল খাওয়া ওদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 17, 2022 | 10:41 PM

Alipurduar: অন্যদিকে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় কয়েকটি স্কুল বুনো হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

School Reopen: ছড়িয়ে ছিটিয়ে শুকনো পাতা, ময়লা! তারই মাঝে মিড ডে মিল খাওয়া ওদের
আলিপুরদুয়ার কলেজিয়েট হাইস্কুল। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: স্কুল খুলেছে। কিন্তু আলিপুরদুয়ার জেলায় এমন বহু স্কুল রয়েছে যেখানে এখনও ছেলে মেয়েদের ক্লাস করার মতো উপযুক্ত পরিবেশই নেই। কোথাও নোংরা ক্লাসরুম, কোথাও আবার স্কুলের মাঠে ডাঁই করা ময়লা। এমনও কেউ কেউ বলছেন, পর্যাপ্ত ‘ফান্ড’ না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। তবু এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই ক্লাস করতে হচ্ছে বাচ্চাদের। বসে খেতে হচ্ছে মিড ডে মিলও। আলিপুরদুয়ার কলেজিয়েট হাইস্কুল। নামে হাইস্কুল থাকলেও এখানে পড়ানো হয় শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ২৫৫ জন। এই স্কুলের দরজা টানা প্রায় দু’বছর বন্ধ। ফলে নোংরা জমেছে ঘরগুলিতে। স্কুলের মাঠ গাছের পাতায় ছেয়ে গিয়েছে। স্কুলের নোংরা বারান্দায় ছাত্র ছাত্রীদের মিড ডে মিল খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানে বসেই খাচ্ছে পড়ুয়ারা। এই নিয়ে খুবই বিরক্ত অভিভাবকরা। এক অভিভাবকের কথায়, “এমনিই সময় খারাপ। আমরা চাই স্কুলটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হোক। বাচ্চারা মিড ডে মিল খায়। ফুড পয়েজন হলে কে দেখবে? আমরা সবাই মিলে বলব কর্তৃপক্ষকে। আগেও বলেছি। এর একটা ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।” যদিও স্কুলের টিচার ইনচার্জ প্রিয়াঙ্কা ভৌমিক জানিয়েছেন, “বারান্দা নোংরা নয়। আমি আজ নিজে হাতেই পরিষ্কার করেছি। মিড ডে মিল যাঁরা রান্না করেন তাঁরাও নিয়মিত খাবার দেওয়ার আগে পরিষ্কার করেন। খাওয়ার পরও পরিষ্কার করা হয়। আমাদের এখন সমস্যা বলতে ছাত্র ছাত্রী বেড়েছে। কিন্তু ঘর, বেঞ্চের সংখ্যা কম। যদিও এ সমস্যাও মিটে যাবে। এটা অনেক আগে হাইস্কুল ছিল। পরে ডিআইয়ের অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হোত। তাই ঘরগুলিতে অনেক পুরনো জিনিস আছে। সেগুলি সরানোর ব্যাপারও আছে।”

অন্যদিকে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় কয়েকটি স্কুল বুনো হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ছাত্র ছাত্রীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বারান্দা কিংবা খোলা মাঠে ক্লাস করছে। যদিও এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মন বলেন, আলিপুরদুয়ারে ৮৩১টি স্কুলের মধ্যে কয়েকটি স্কুলের অবস্থা খারাপ। ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। পরিকাঠামো ঠিক করতে কিছুটা সময় লাগবে। আলিপুরদুয়ারে শিশুদের স্কুল খুললেও কয়েকটি স্কুলে যে সমস্যা রয়েছে তা তিনি স্বীকার করে নেন। তবে ফান্ড না থাকার বিষয়টি স্বীকার করেননি তিনি। বরং জানান, বহু স্কুলেই ফান্ড গিয়েছে।

পরিতোষ বর্মনের কথায়, “কিছু স্কুলে সমস্যা আছে। প্রশাসনিক স্তরে আলোচনাও হয়েছে। খুব দ্রুত সেগুলি ঠিকঠাক করার কাজ শুরু হবে। হাতির হামলায় স্কুলে ক্ষতির বিষয়টি আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছি। এর জন্য আমরা একটা বৈঠকও করেছি। দু’ একদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক জায়গায় ফিরিয়ে আনব। যে জায়গাটা ভেঙে গিয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে একটু সময় তো লাগবেই।”

আরও পড়ুন: Madhyamik Exam: ২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড বিলি, জারি বিজ্ঞপ্তি

Next Article