আলিপুরদুয়ার: গুজরাটের মোরবিতে সেতু বিপর্যয়। যা আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে আলিপুরদুয়ারে। ধওলা নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতুর জীর্ণ দশা। ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার। অভিযোগ, এখনও শীতঘুমে প্রশাসন। আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকে ধওলা নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ছিপড়া বিটের জঙ্গলের মূল আকর্ষণ। প্রায় ১০০ মিটার লম্বা ঝুলন্ত এই সেতুর নড়বড়ে দশা। প্রাণ হাতে নিয়ে প্রতিদিন সেতু পারাপার করতে হচ্ছে। রাভা বস্তির ৪০ টি পরিবার এই সেতুর উপর নির্ভরশীল। জঙ্গলের মাঝে ঝুলন্ত সেতুটি থাকায় বহু পর্যটকও দেখতে আসেন।
এক সময় ধওলা নদীর উপর কাঠের সেতু ছিল ১৯৯৩ সালে বন্যায় সেতু ভেসে যায় এরপর খুটিবিহীন ঝুলন্ত সেতু তৈরি করা হয়। শুরু থেকেই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগ, মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি বনদফতর। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমার টোটো গাড়ি রয়েছে। সেটা নিয়ে যাত্রী নিয়ে যাই। কিন্তু যেতে মারাত্মক ভয় লাগে। কীভাবে যে রাস্তা পারাপার হচ্ছে সবাই, সেটাই বিষয়। যে কোনও সময়ে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।” আরেক পর্যটক বলেন, “জায়গাটা তো খুবই সুন্দর। কিন্তু ব্রিজটার অবস্থা খুব খারাপ। এখানকার মানুষদের সত্যিই যাতায়াতে খুব অসুবিধা হয়। এই ব্রিজটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। সেটা হলে এখানকার মানুষদের সুবিধা হবে।” স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, “ব্রিজের ওপরের দিকের লোকেদের মারাত্মক সমস্যা। অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে চায় না। ঠেলা গাড়িতে এপাশে নিয়ে আসতে হয়। রোগী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়। ”
বনদফতর একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দায় সেরেছে। কবে ঠিক হবে জানেনা কেউই। বিপদ মাথায় নিয়েই বনকর্মী থেকে স্থানীয় বাসিন্দা সকলেরই সেতু দিয়ে যাতায়াত। বনদফতরের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও অবিলম্বে ব্রিজ মেরামতির উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার অমিতেশ শতপথী। প্রশাসনের আশ্বাস বাস্তবায়িত হবে কবে? কবে সেতু মেরামতির উদ্যোগ নেবে প্রশাসন? গুজরাটে ব্রিজ বিপর্যয়ের পর এই প্রশ্নগুলোই জোরাল হয়ে উঠেছে আলিপুরদুয়ারে।