আলিপুরদুয়ার: অতীতে অনেকে অনেক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন। খ্যাতিও পেয়েছেন অনেকে। আবার অনেকের সেই খ্যাতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমেও গিয়েছে। কিন্তু একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর জন্য কাউকে যে নিজের জীবন দিয়ে দিতে হবে, এমন হয়ত সচরাচর শোনা যায় না। কিন্তু এমনই এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটল আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। ভাইরাল হওয়ার ভিডিয়োর মাশুল জীবন দিয়ে মেটাতে হল আলিপুরদুয়ারের এক কলেজছাত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁয়। রবিবার রাতে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় কলেজ ছাত্রীর দেহ। পরিবারের সন্দেহ, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োর কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে তাঁদের মেয়ে।
কী এমন ভিডিয়ো? যা ভাইরাল হওয়ার কারণে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে ওই কলেজ ছাত্রী? জানা গিয়েছে, গতমাসে একটি শপিং মলে গিয়েছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট বোনও। সেই সময় শপিং মলের ভিতরে একটি দোকান থেকে চকোলেট সকলের অজান্তে তুলে নেয় সে। কিন্তু এরপর ধরা পড়ে যাওয়ায় নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়। ওই চকোলেটের দামও দিয়ে দেয়। কিন্তু সেই সময় শপিং মলের অনেকেই মোবাইলে ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করে নেয়। যুবতী একাধিকবার অনুরোধ করেছিল ওই ভিডিয়োটি যাতে কোথাও শেয়ার না করা হয়। কিন্তু মৃতার পরিবারের দাবি, এরপরও সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ ওই ভিডিয়োটি শেয়ার করেন এবং ক্রমেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই ঘটনার পর থেকেই জয়গাঁর ওই কলেজছাত্রী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে দাবি পরিবারের। এরপর গতকাল নিজের ঘর থেকে ওই কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে ওই ঘটনার পর গতরাতেই শপিংমলের সামনে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। জয়গাঁ থানার সামনেও চলে বিক্ষোভ। সোমবার সকালেও গ্ৰামবাসীরা জয়ঁগা থানার সামনে জমায়েত হয়ে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়। জয়ঁগা থানার ওসি প্রবীর দত্ত জানান, “অভিযোগ হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করছে। মৃতদেহ আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।”