আলিপুরদুয়ার: বোর্ডে লেখা ‘হ্যাপি টিচার্স ডে’। আর টেবিলে রাখা জওহরলাল নেহেরুর ছবি। তাতে পরানো মালা। সারা দেশে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনে শিক্ষক দিবসের পালিত হলেও আলিপুরদুয়ারের এই সরকারি স্কুলে দেখা গেল না তাঁরই ছবি। অথচ, এই টিচার্স ডে-তেই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার হিড়িক দেখা গেল শিক্ষিকাদের মধ্যেই। তারপরই সমালোচনার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ-কেউ প্রশ্ন করলেন, ‘রাধাকৃষ্ণনের জায়গায় নেহেরুর ছবিতে মালা কেন?’ বিষয়টি চাউর হতেই পরে নেহেরুর ছবির জায়গায় সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের ছবিতে মালা পরানো হয়। কেন এমন ঘটনা ঘটল তা জানতে শিক্ষিকাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলেও তা মেলেনি।
মঙ্গলবার ছিল শিক্ষক দিবস। হইচই করে তা পালন করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। কিন্তু আলিপুরদুয়ারের আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম জুনিয়র বেসিক স্কুলে স্কুলে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। সেখানেই গতকাল ‘টিচার্স ডে’ পালিত হয়েছে নেহেরুর ছবিতে মালা পরিয়ে। এরপর শিক্ষিকারা ওই ছবির সামনে দাঁড়িয়ে ‘ফোটোসেশনও’ করেছেন। তারপর হোয়াটস অ্যাপে সেই ছবি চালাচালি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি স্কুলে গিয়ে ছবি বদলালেন শিক্ষিকারা।
পড়ুয়াদের ভুল তাও মেনে নেওয়া যায় কিন্তু শিক্ষিকারা কীভাবে এই কাজ করলেন সেই বিষয়ে হতবাক শিক্ষামহল থেকে নেট দুনিয়া। কটাক্ষের সুরে কেউ বলেছেন, “শিক্ষক দিবসের প্রবর্তন কে করেছিলেন সেই জ্ঞানই নেই শিক্ষকদের। তারা আবার পড়ুয়াদের কী শেখাবেন।”
তবে গোটা বিষয়টির দায় এড়িয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা রীতা সরকার। তিনি বলেন, ” স্কুলের ছেলে মেয়েরা দুষ্টুমী করে এই কাজ করেছে। আমার চাকরি জীবনের শেষ পর্যায় এখন। আমি জানব না শিক্ষক দিবসের প্রবর্তক কে? আমাদের স্কুলে প্রত্যেক মনীষীদের ছবিতেই মালা পরানো হয়।” এই স্কুলের পাশেই স্কুলের পাশেই ডিপিএসসি-র অফিস। চেয়ারম্যান পরিতোস বর্মণ বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। শিক্ষিকারা এ ধরনের ভুল করবেন আশা করা যায় না।”