আলিপুরদুয়ার: সূয্যি ঢললেই গাঁয়ের রাস্তা একেবারে অন্ধকারে ডুবে যায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির প্রার্থী প্রচারে এসে বলেছিলেন, জিতলে আলো এনে দেবেন তিনিই। জিতেওছেন সেই প্রার্থী। তবে পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়েছে তৃণমূল। ফলে পথবাতি লাগাতে একসঙ্গে এত টাকা পাবেন কোথায় বিজেপি সদস্য? এরপরই নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বাতি লাগালেন এলাকায়। আলিপুরদুয়ারের বিবেকানন্দ-১ গ্রাম পঞ্চায়েত। তৃণমূলের বোর্ড এখানে। তারমধ্যেই বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমন কাজ করায় খুশি তিনি।
আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের বিবেকানন্দ-১ গ্রামপঞ্চায়েতের ১২/১৫২ নম্বর বুথ। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন এই গ্রামে কোনও পথবাতি নেই। গোটা গ্রামের রাস্তাঘাট অন্ধকারেই ডুবে থাকে। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হয় এলাকার লোকজনকে। বিশেষ করে রাস্তার মোড়গুলি একেবারে অন্ধকার ঘুটঘুটে। ফলে দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ছে। অভিযোগ, বাড়ছে অপরাধপ্রবণতাও।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বুথে বিজেপির প্রার্থী হন মুন্না সিং। তিনি যখন ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন, এলাকার লোকজন এই সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মুন্নার কথায়, তিনি ঠিক করেছিলেন ভোটে জিতলে যে ভাতা পাবেন, সেই টাকা থেকেই আলো আনবেন গ্রামে। মুন্না সিং বলেন, “বোর্ডের ফান্ড এখনও আসেনি। বৈঠকও হয়নি। তবে কাজ তো করতেই হবে।”
আপাতত গ্রামের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণস্থানে ১৪টি এলইডি লাইট লাগানো হয়েছে। এই পথবাতির বিদ্যুৎসংযোগ করতে স্থানীয় মানুষের বাড়ি থেকেই বিদ্যুৎ নিতে হয়েছে। সেইসব বাড়ির মালিকদের বিদ্যুৎ খরচের আনুমানিক এক বছরের বিল দিয়ে দিয়েছেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য মুন্না সিংহ। যদিও বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যর এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যেগে সমাজসেবা করেন। সমাজসেবা করেন গোপনে। প্রচার চান না। এটার সঙ্গে বিজেপিকে মহান করে দেখার বিষয় নয়।” পাল্টা বিজেপি সাংসদ জন বার্লা বলেন, “এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। উনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সবটা করেছেন।”