Alipurduar: ১৫-১৬টা বাচ্চা থাকে, লাঠি হাতে ক্রেসে পাহারা দিচ্ছেন আয়ামাসী… প্রশ্ন করতেই বললেন ভয়ানক বিপদের কথা

Alipurduar: লাগাতার লেপর্ডের আক্রমণে আতঙ্কিত ভাতখাওয়া চা বাগানের শ্রমিকরা। সারা বছরই এই ভাতখাওয়া চা বাগানে চিতাবাঘ দেখা যায় বলে দাবি শ্রমিকদের। সম্প্রতি বাগানের এক মহিলা চা শ্রমিককে লেপার্ড থাবা বসায়।

Alipurduar: ১৫-১৬টা বাচ্চা থাকে, লাঠি হাতে ক্রেসে পাহারা দিচ্ছেন আয়ামাসী... প্রশ্ন করতেই বললেন ভয়ানক বিপদের কথা
ক্রেসের আয়ামাসীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2024 | 2:29 PM

 আলিপুরদুয়ার:  ডুয়ার্সের চাবাগানে লেপার্ডের আতঙ্ক। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। চিতাবাঘ যাতে লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পেরে, তার ফাটানো হচ্ছে পটকা। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের ভাতখাওয়া চা বাগানের ঘটনা।

লাগাতার লেপর্ডের আক্রমণে আতঙ্কিত ভাতখাওয়া চা বাগানের শ্রমিকরা। সারা বছরই এই ভাতখাওয়া চা বাগানে চিতাবাঘ দেখা যায় বলে দাবি শ্রমিকদের। সম্প্রতি বাগানের এক মহিলা চা শ্রমিককে লেপার্ড থাবা বসায়। তাঁর বর্তমানে চিকিৎসা চলছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি বাগান শ্রমিকদের। অভিযোগ, বাগানের বিভিন্ন সেকশনে লেপার্ড শাবক নিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ জন জখম হয়েছে লেপার্ডের হানায়। বনদফতরকে একাধিকবার এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।

লেপার্ডের হানায় আতঙ্কিত বাগানের শ্রমিকরা। তাই বাগানে কাজ করার আগে পটকা ফাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। যাতে জন্তু আশপাশে থেকে থাকলেও শব্দে পালিয়ে যায়।

ওপরদিকে বাগানে যে ক্রেশ রয়েছে, সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের শিশু থাকে।  সেখানেও লক্ষ্য করা গেল শিশুদের দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা আয়া লাঠি হাতে পাহারা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমরা ভয়ে আছি। কেননা বাগানে সর্বত্র লেপার্ড রয়েছে। আর ক্রেশে ১৫-১৬ জন বাচ্চা থাকে। তাদের দেখভালের দায়িত্ব তো আমাদেরই। তাই লাঠি হাতে আমরা পাহারা দিচ্ছি।”

ভাতখাওয়া চা বাগানের সহকারি ম্যানেজার বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বন্যপ্রাণ রক্ষা করা যেমন আমাদের সবার কর্তব্য তেমনি চা শ্রমিকদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব তাই আমাদের থেকে যা করণীয় করছি। শ্রমিকদের পটাকা দেওয়া হচ্ছে যাতে কাজ শুরু করার পূর্বে পটাকা ফাটানো হয় এলাকায় এছাড়া চা বাগানে যেই সেকশনে কাজ হচ্ছে সেখানে চৌকিদার দের দিয়ে পাহারা দেওয়া হচ্ছে।”