আলিপুরদুয়ার: ভোটে শাসকদলের প্রার্থী তিনি। অথচ তাঁর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ। আলিপুরদুয়ার পুরসভার (Alipurduar Municipality) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অরূপা রায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, জলাভূমি দখল করে বাড়ি তৈরি করার। এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিজেপিও এটিকেই ভোটের ইস্যু করতে চাইছে। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। এ বিষয়ে বিজেপি (BJP) বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, এই প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছিল। মূলত স্থানীয়রাই এই অভিযোগ তোলেন। আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন জায়গায় জলাভূমি দখল করে ব্যবসার অভিযোগ বহুদিন ধরেই উঠছে। তৃণমূল প্রার্থীর ঘটনাটি তারই একটা নমুনা বলে দাবি বিজেপি বিধায়কের। তিনি বলেন, শাসকদলের মদত আছে এতে। তা ছাড়া কখনওই এসব করা সম্ভব নয়। সুমন কাঞ্জিলালের কথায়, “শাসকদলের প্রার্থী যদি জবরদখল করে বাড়ি করেন, তবে আলিপুরদুয়ারের পরিস্থিতি কী এটা সাধারণ মানুষ বিবেচনা করবেন বলে আমরা মনে করি।”
যদিও তৃণমূল প্রার্থী অরূপা রায় বলেন, “এটা একেবারে মিথ্যা কথা। বিরোধীদের অপপ্রচার। মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে এভাবে। আর কিছু বলার নেই। পায়ের নীচে মাটি নেই। তাই ওরা এসব বলছে। আমার বাড়ির কাগজপত্র সবই আছে। আলিপুরদুয়ারে বহু জলাভূমি দখল হয়েছে। তখন ওরা কী করেছে?”
তবে এই অভিযোগ শুধু রাজনৈতিক ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ নেই। এ নিয়ে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। এই সংগঠনের যিনি কর্ণধার ল্যারি বসু, তিনি দীর্ঘদিন জলাভূমি রক্ষার দাবিতে আন্দোলন করেছেন। তিনিও এই বিষয় নিয়ে সরব হন। ল্যারি বসু বলেন, “বুঝে পাচ্ছি না রাজনৈতিকদলগুলি মানুষের স্বার্থে কাজ করে নাকি নিজের স্বার্থে কাজ করে। একজন তৃণমূল প্রার্থী, যিনি মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে ভোটে লড়ছেন। অথচ তিনিই জলাশয় দখল করেছেন। এঁরা মানুষকে কী পরিষেবা দেবে, মানুষের সামনে কী নমুনা তৈরি করবেন কে জানে।”
আরও পড়ুন: Student Leader Death: মাঝরাতে বাড়িতে ‘পুলিশ’, ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে খুনের অভিযোগ আইএসএফ নেতাকে