আলিপুরদুয়ার: যে কোনও মুহূর্তেই চলে আসছে সে। চা বাগানের মাঝখান বরাবর রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়েই নিত্য যাতায়াত করতে হয় চা বাগানের শ্রমিকদের। বাজারঘাট হোক কিংবা স্কুল। কিন্তু চা বাগানেই যে বিপদ! তাই অনেকে ভয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠানোও বন্ধ করে দিয়েছেন। বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা।
চিতাবাঘের আতঙ্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না আলিপুরদুয়ারের মথুরা চাবাগানের বাসিন্দাদের। বনদফতরের তরফে ফের নতুন করে বসানো হয়েছে খাঁচা।
চাবাগানে কাজে যেতে চাইছেন না শ্রমিকরা। গত একমাসে মথুরা চাবাগানে ৩ টি লেপার্ড খাঁচাবন্দি হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলার মথুরা চাবাগানে গত ১৫ দিন ধরে আতঙ্কে শ্রমিকরা কাজে যেতে চাইছেন না। ফলে পণ্ড হচ্ছে মথুরা চাবাগানের কাজকর্ম। এইদিকে বনদফতরের তরফে বাগানে লাগাতার খাঁচা পেঁতে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ উদ্বার করা হচ্ছে।
গত মাসে মথুরা চা বাগান থেকে মোট তিনটি চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছে। সেগুলোকে উদ্বার করে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ফের জলদাপাড়ার জঙ্গলে ছাড়া হয়। ফের একই চাবাগানে লেপার্ডের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। চিতাবাঘ ধরতে ৭ নম্বর সেকশনে ফের খাঁচা পাতা হয়েছে। কয়েকদিন পর পর পাশ্ববর্তী চিলাপাতা জঙ্গল থেকে লেপার্ড বেড়িয়ে আসছে চাবাগানে। কিছুতে আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না চা শ্রমিক মহল্লায়। আতঙ্কে পড়ুরাও স্কুলে যেতে পারছে না। বনদফতর টহল দিচ্ছে প্রতিনিয়ত ।কিন্তু লেপার্ডের আতঙ্ক বন্ধ হচ্ছে মথুরা চা বলয়ে।