Alipurduar: বনধের দিন তৃণমূলের দু’পক্ষের লড়াই, চলল দু’রাউন্ড গুলি
Alipurduar: অভিযোগ, এলাকায় তৃণমূল নেতা লক্ষ্মীকান্ত রাভা ও তার সঙ্গীরা বনধের বিরুদ্ধে গিয়ে সমর্থনের পক্ষে কথা বলেন। তাতেই বনধে বিরোধিতায় প্রচারে নামা তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয়।

আলিপুরদুয়ার: বনধ ঘিরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। তার থেকে চলল গুলি। আহত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী-সহ একাধিক, ঘটনাস্থলে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দাবিতে বুধবার ১২ সারা ভারত বন্ধের ডাক দেয় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন। সেই মত সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় বনধ পালন করতে দেখা যায়। রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য, সরকারি ছাড়া বেসরকারি পরিবহন ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে যায়। একই রকম ভাবে জেলার বিভিন্ন চা বাগানগুলিতেও বন্ধ পালন করতে দেখা যায়।
অভিযোগ, এলাকায় তৃণমূল নেতা লক্ষ্মীকান্ত রাভা ও তার সঙ্গীরা বনধের বিরুদ্ধে গিয়ে সমর্থনের পক্ষে কথা বলেন। তাতেই বনধে বিরোধিতায় প্রচারে নামা তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয়। এদিন দুপুর নাগাদ দুই পক্ষের বাদানুবাদ চরমে ওঠে এবং মারপিট শুরু হয়। অভিযোগ, সেই মারপিটে লক্ষ্মীকান্ত রাভা দলবল নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেফালি রায় এর স্বামী রণজিৎ কুমার রায় ও তাদের লোকেদের বেপরোয়া মারধর করেন। তাতেই গুরুতর আহত হন রণজিৎ কুমার রায় ও একাধিক ব্যক্তি। এদিন আহতরা আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে আলিপুরদুয়ার থানায় পুলিশের দারস্থ হন।
জানা গিয়েছে, দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে হাজির হন। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে হাজির হন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। এলাকায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।তৃণমূলের তপসীখাতা অঞ্চল চেয়ারম্যান লক্ষ্মীকান্ত রাভা অভিযোগ করেছেন দুই রাউন্ড গুলি চলেছে। কিন্তু গুলির বিষয়টি অপর গোষ্ঠী অস্বীকার করেছে।
প্রধান শেফালি বর্মন বলেন, “একটা কথা কাটাকাটি হয়েছিল। মীমাংসার জন্য সবাই মিলে বসার কথা ছিল। তারমধ্যেই এই ধরনের ঘটনা। ”

