আলিপুরদুয়ার: আচার্য সি ভি আনন্দ বোস নিযুক্ত অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্রপরিষদ। জানা যাচ্ছে উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে যোগদানের প্রথম দিন ছিল। আর সেইদিনই উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ। দেখানো হল কালো পতাকা।
প্রসঙ্গত, ছ’মাস ধরে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনও উপাচার্য। প্রাক্তন উপাচার্য মহেন্দ্রনাথ রায় তিন মাসের জন্য কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি চলে যাওয়ায় ছ’ মাস ধরে উপাচার্যহীন অবস্থায় ছিল আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর আচার্য বোস বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আজ উপাচার্য হিসাবে প্রথম যোগ দিতে আসেন তিনি। সময়ের কিছুটা আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছন উপাচার্য। অভিযোগ, তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কালো পতাকা দেখায়। চলে স্লোগান। সেই সব উপেক্ষা করেই নিজের অফিসে পৌঁছে যান উপাচার্য। তাঁর পিছু-পিছু সেখানেও ঢুকে পড়ে টিএমসিপি-র ছাত্ররা। দীর্ঘ এক ঘণ্টা তৃনমূল ছাত্র পরিষদ নেতা কর্মীদের সঙ্গে উপাচার্যের ম্যারাথন বৈঠক হয়।
থীন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপাল পাঠিয়েছেন। আমি এখানে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিয়েছি। ওদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমি তো অন্তর্বতীকালীন উপাচার্য হিসেবে এসেছি। যতদিন কাজ করতে বলা হবে ততদিন কাজ করব। এই বিশ্ববিদ্যালয় যাতে পূর্ণ রুপ পায় সেদিকে দেখব।” রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নতুন উপাচার্য। তিনি বলেন, “আমি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকালীন ও নির্দিষ্ট সময়ের আগে যেতাম। আমি খেলা টেলা বুঝি না।”
অপরদিকে, তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাধিপতি সমীর ঘোষ বলেন,”রাজ্যপালের পাঠানো অন্তর্বতীকালীন উপাচার্যকে আমরা মানছি না। আমরা চাই স্থায়ী উপাচার্য। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার রয়েছে,রাজ্যপাল ও রাজ্যসরকারের সঙ্গে আলোচনা করে উপাচার্য নিয়োগ করার কথা। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। নতুন উপাচার্যের কোনও কিছু সই করার ক্ষমতাই নেই।”
প্রসঙ্গত, রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক। তিনি কলা, বাণিজ্য ও আইন বিভাগে ডিনও ছিলেন। এরপর তাঁকে আচার্য সি ভি আনন্দ বোস আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করলেন।