আলিপুরদুয়ার: আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের নিযুক্ত উপাচার্যরা যে কাজে বাধা পাচ্ছেন এই অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে কাজ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। আর এবার অসহযোগিতার অভিযোগ তুললেন সদ্য নিযুক্ত হওয়া আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কাজে যোগ দেওয়ার সময়ই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাছে কালো পতাকা দেখতে হয় তাঁকে। এবার জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ রথীনবাবুর। তিনি বলছেন, সার্কিট হাউসে থাকতে দেওয়া হলেও পানীয় জল থেকে তিনবেলা খাবার পাচ্ছেন না তিনি।
রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি তো শিলিগুড়ি থেকে এসেছি। তাই আলিপুরদুয়ারে ঘর খোঁজার জন্যও একটা সময় লাগবে। যেহেতু অস্থায়ী উপাচার্যদের জন্য সেই ভাবে বাসস্থানের জায়গা নেই তাই আমি জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যাতে সরকারি সার্কিট হাউসে আমার থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। বহুবার অনুরোধ করার পর মাথা গোঁজার ঠাঁই তো হল। কিন্তু এসে দেখতে পেলাম আমার জন্যে পানীয় জল থেকে তিনবেলার খাবার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। থাকার ঘরটি পরিষ্কার করা হচ্ছে না।” উপাচার্যের কথায়, তিনি পরে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক-দুজন কর্মীর থেকে জানতে পারেন যে, সার্কিট হাউসের সকলে নির্দেশ দেওয়া রয়েছে যাতে রথীনবাবুকে খাবার এবং জল সরবরাহ করা না হয়। মঙ্গলবার ব্যথিত সুরে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এমন অমানবিক নোংরা রাজনীতির শিকার যে আমাকে হতে হবে তা ভাবতেই পারছি না।”
প্রসঙ্গত, গত সোমবার আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের নির্দেশে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাতে আসেন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজের প্রথম দিনই তাঁকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। দেখানো হয় কালো পতাকা।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার
বলেন, “আমি অর্ডার পড়েছি। রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় স্থায়ী এবং অস্থায়ী কোনও উপাচার্যইনন। শুধু তাঁকে কার্যাবলী নির্বাহ করতে বলা হয়েছে। এরকমই অর্ডারে লেখা রয়েছে। তাই উপাচার্য হিসেবে তিনি সুযোগ সুবিধা পাবেন না। তিনি ভি সি-র সিল ব্যাবহার করেছেন। এটা তিনি সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন না।”