Siksha Ratna Award: পুলিশ থেকে শিক্ষক, চা-বলয়ের সেই ‘জয়ব্রত স্যর’ই এবারের ‘শিক্ষারত্ন’

Siksha Ratna Award: ১৯৯৯ সালে রাজ্য পুলিশে যোগ দেন। সাব ইন্সপেক্টর পদে যোগ দেন। এরইমধ্যে এসএসসিতে বসেন, পাশও করেন। এরপরই পুলিশের চাকরি ছেড়ে স্কুলে পড়ানো শুরু করেন। শিক্ষকতার প্রতি প্রথম থেকেই তাঁর একটা আবেগ ছিল। তাই সুযোগ আসার পর তা তিনি ছাড়েননি।

Siksha Ratna Award: পুলিশ থেকে শিক্ষক, চা-বলয়ের সেই 'জয়ব্রত স্যর'ই এবারের 'শিক্ষারত্ন'
বীরপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ব্রত ভট্টাচার্যImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2024 | 9:33 AM

আলিপুরদুয়ার: কর্মজীবন শুরু হয়েছিল পুলিশের চাকরি দিয়ে। পরে স্কুল সার্ভিস কমিশনে বসেন, শিক্ষকও হন। এখন বীরপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ব্রত ভট্টাচার্য। এবার তিনিই শিক্ষারত্ন সম্মান পাচ্ছেন।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

প্রায় ২২ বছর হয়ে গেল বীরপাড়া হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছেন জয়ব্রত ভট্টাচার্য। দু’দশক ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য এবার তিনিই আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে শিক্ষারত্ন সম্মানের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

১৯৯৯ সালে রাজ্য পুলিশে যোগ দেন। সাব ইন্সপেক্টর পদে যোগ দেন। এরইমধ্যে এসএসসিতে বসেন, পাশও করেন। এরপরই পুলিশের চাকরি ছেড়ে স্কুলে পড়ানো শুরু করেন। শিক্ষকতার প্রতি প্রথম থেকেই তাঁর একটা আবেগ ছিল। তাই সুযোগ আসার পর তা তিনি ছাড়েননি।

বীরপাড়া চা বলয়ে পড়ে। স্বভাবতই চা বলয়ের ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে তোলাটাই তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ।স্কুলছুট পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে তিনি নিরলস প্রয়াস চালাচ্ছেন। জয়ব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “ইমেলে আমাকে জানানো হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে আমার জন্য আনন্দের। আমার ২২-২৩ বছরের শিক্ষক জীবনে যেটুকু অবদান আমার ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রাখতে পেরেছি, সেটার স্বীকৃতি হিসাবেই আমি এটাকে দেখছি। এই স্বীকৃতি আমার একার না, সমগ্র সমাজের।”

তাঁর এই সম্মানে খুশি তাঁর সহকর্মীরাও। বীরপাড়া হাইস্কুলেরই শিক্ষিকা শিক্ষিকা সুভদ্রা সোরেনের কথায়, তাঁদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই সম্মান পাচ্ছেন, তাতে তাঁরাও গর্বিত। সুভদ্রা সোরেন বলেন, “উনি এই সম্মানের যোগ্য অধিকারী। ওনার অক্লান্ত পরিশ্রম আমরা দেখি। বীরপাড়া হাইস্কুলকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে ওনার অবদান না বললেই নয়। আমরা সবসময় আমাদের প্রধান শিক্ষকের সৈনিক হিসাবে কাজ করব। আমাদের লক্ষ্য একটাই, স্কুলের উন্নতি।”