আলিপুরদুয়ার: হরিণ মেরে মাংস খাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে শেষ অবধি আর তা হল না। তার আগেই চোরা শিকারীদের হাতেনাতে ধরে ফেলল বনদফতরের কর্মীরা। মৃত হরিণটির দেহও উদ্ধার করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে বনদফতর। বনদফতর সূত্রে খবর, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগের বারোবিশা বিটে টহল দিচ্ছিলেন ভল্কা রেঞ্জের কর্মীরা।
সেই সময় তাঁরা একটি তিরের সঙ্গে একটি নিহত বার্কিং ডিয়ার দেখতে পান। বনকর্মীদের বুঝতে বাকি থাকে না, জঙ্গলে ‘অনুপ্রবেশ’ ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তল্লাশি। এরপর শুক্রবার কুমারগ্রামের পূর্ব শালবাড়ি থেকে ২ জনকে তিরধনুক-সহ গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার ধৃতদের আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বনদফতরের আধিকারিক দেবাশিস শর্মা বলেন, হরিণের মৃতদেহ পশু চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য জুওলজিক্যাল সার্ভেতে পাঠানো হবে। ধৃতদের সম্পর্কে এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি তথ্য দিতে নারাজ বনদফতর। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে কী কী তথ্য উঠে এসেছে তাও জানাতে চায়নি তারা। তদন্তের স্বার্থেই গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে বলে খবর।