আলিপুরদুয়ার: ডেঙ্গি বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকে।ডেন থ্রি ভ্যারিয়েন্টের হদিশ কালচিনিতে। আলিপুরদুয়ার জেলার অন্যত্র ডেঙ্গি সেভাবে থাবা বসাতে না পারলেও কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দিন প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় এখন অবধি আক্রান্ত ৫২ জন। তার মধ্যে শুধুমাত্র কালচিনি ব্লকেই আক্রান্ত ৪৪ জন। তার উপর ডেঙ্গির নতুন ভেরিয়েন্টের হদিশ মেলায় চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন।
তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর ও কালচিনি ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ‘পূর্বে কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে সন্ধান মিলতো ‘ডেন টু’ ভেরিয়েন্টের। ফলে সাধারণ মানুষ কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে অধিকাংশ রোগী বাড়িতেই সঠিকভাবে চিকিৎসা মিললে তারা সুস্থ হয়ে যেতেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ‘ এবার কালচিনি ব্লকের ৩০ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের নমুনা পরীক্ষা করার পর সেখানে ৩জনের মধ্যে ‘ডেন থ্রি’ ভেরিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে। ফলে পূর্বের তুলনায় ডেঙ্গির তীব্রতা বেড়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের মতে, দিন প্রতিদিন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে এই ভেরিয়েন্ট পাল্টাতে থাকে। এরূপ পরিস্থিতিতে বেশ কিছু ডেঙ্গি আক্রান্তকেই ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। যারপরেই ডেঙ্গি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন স্বাস্থ্য দফতর ও কালচিনি ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। বর্ষার পূর্বেই কালচিনি ব্লকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার জেলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫২, যার মধ্যে ৪৪ জন রোগীর সন্ধান মিলেছে কালচিনি ব্লকেই। ব্লকে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক আক্রান্ত কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতে (১৪)। যারপরে ডেঙ্গি রুখতে পুরোপুরি ময়দানে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা অবলম্বন না করলে আইনি পদক্ষেপ করার কথাও জানে কালচিনি ব্লক প্রশাসন। ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জ, কালচিনি, হাসিমারা এলাকায় ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠকও করেন ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। কোথাও যাতে জমা জল, আবর্জনা না থাকে এ নিয়ে সকলকে সচেতন করার বার্তাও দেওয়া হয়। পাশাপাশি, এদিন একাধিক মাছ বাজার, টায়ারের দোকান-সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। সকলেই কড়া ভাবে সচেতন করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে কালচিনি বিডিও মিঠুন মজুমদার বলেন, “সকলকেই ভালো ভাবে বোঝানো হয়েছে, যদি আগামী কেউ সচেতনতা অবলম্বন না করেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব। উদাসীনতার কারণে বাকি মানুষদের রোগের মুখে ঠেলে দিতে পারি না আমরা।”