আলিপুরদুয়ার: যৌনপল্লীর মাটি না হলে দুর্গাপ্রতিমার কাজ শুরু হয় না। অথচ সমাজনগরের এই যৌনকর্মীরা পুজো দেখতে বের হতে পারেন না। কোথাও অঞ্জলি দিতে পারেন না। অনেক বঞ্চনা, না পাওয়ার মধ্যে এ বার প্রথম আলিপুরদুয়ারের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সমাজনগরে ১০০ জন যৌনকর্মী পুজোয় সামিল হয়েছেন। আলিপুরদুয়ারে যৌনপল্লীতে এই প্রথম দুর্গাপুজো হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি যৌনকর্মীরা।
আলিপুরদুয়ারের বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বোস যৌনকর্মীদের পুজোর ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এক কথায় যৌনকর্মীদের অভিভাবকের ভূমিকায় থেকে যৌনকর্মীদের এলাকার উন্নয়নে তিনি অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছেন।
যৌনকর্মীদের দুর্গাপুজো নিয়ে বিশিষ্ট সমাজসেবী ল্যারি বোস বলেছেন, “এখানে ১০০ জন যৌনকর্মী রয়েছেন। পুজোয় সবাই যখন আনন্দ করে, তখন এরা মনমরা হয়ে পড়ে থাকতেন। তাই এবার প্রথম উদ্যেগ নিয়ে যৌনপল্লীতেই মায়ের পুজো হচ্ছে। ওরা খুব খুশি। এখানেই এবার ওরা প্রথম অঞ্জলি দিতে পারছে।” যদিও এ ব্যাপারে কোন রাজনৈতিক দল তেমন কোন সহযোগিতা করেনি। শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান সহযোগিতা করেছে। এবং প্রশাসন পুজো করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। এবার আলিপুরদুয়ার যৌনপল্লীতে পুজো হচ্ছে, ঢাক বাজছে। খুশি সকলেই। এ ব্যাপারে যৌনকর্মীরা বলেন, “আমরা পুজোতে বের হতে পারি না। অঞ্জলি দিতে পারি না। এবার আমরাই প্রথম পুজো করছি। আমরা দারুন খুশি।”