অলিপুরদুয়ার: সামনে বালি মাফিয়া ছুটছে প্রাণ ভয়ে আর পিছনে ধাওয়া করছে সিভিল ড্রেসের এক সরকারি আধিকারিক। নদীর চড় বরাবর ‘চেজ়’ করার একটুকরো এই ছবিটা চোখের সামনে ভেসে উঠলে যে কেউ ভাবতে পারেন দক্ষিণের কোনও অ্যাকশান ফিল্ম। হ্যাঁ, এমনই বিরল চিত্র ক্যামেরাবন্দি করেছে টিভি নাইন বাংলা। আলিপুরদুয়ার কালচিনি ব্লক আধিকারিকের ‘অপারেশন’ এখন মুখেমুখে ঘুরছে আশপাশের এলাকায়।
দীর্ঘদিন ধরেই কালচিনি ব্লকের বেশিরভাগ নদীর চর থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার কাজ চলছে। একদল অসাধু কারবারি কার্যত প্রকাশ্য দিবালোকে ট্রাক্টরের ডালা বোঝাই করে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে টন টন বালি। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে এই অবৈধ কারবার রুখতে সম্প্রতি কড়া হন কালচিনি ব্লকের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ। ঠিক করেন, কোনও অধস্তন আধিকারিকে নির্দেশ দিয়ে নয় বা কোনও নোটিস জারি করে নয়, বরং তিনি নিজেই নামবেন ময়দানে। সেইমতো শনিবার তিনি হঠাৎ পৌঁছে যান বাসরা নদীর ঘাটে। এক্কেবারে স্বচক্ষে দেখে ফেলেন ট্রাক্টরের ট্রলিতে বোঝাই হচ্ছে চুরির বালি। ব্যাস, সঙ্গে সঙ্গে দৌড় লাগালেন প্রশান্তবাবু। যাকে বলে ধাওয়া করা। অন্তত একটাকে হাতেনাতে ধরবেনই যেন পণ করে এসেছিলেন তিনি। নাহ, ধরতে পারেননি তিনি কাউকেই। তবে তার প্রয়াস প্রশংসা কুড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
বিডিওকে দৌড়ে আসতে দেখে, কার্যত ট্রাক্টর এবং ট্রলি ফেলে চম্পট দিতে হয়েছে বালি চোরদের। আর এর মাঝেই আমাদের ক্যামেরাবন্দি হয়ে গিয়েছে চোরকে ধরতে বিডিও সেই বিরল দৌড়। যা সচরাচর সরকারি আধিকারিকদের ক্ষেত্রে যেন ভাবনাতেও আসে না। বালি চোরদের ধাওয়া করা নিয়ে প্রশান্ত বর্মণ বলেন, ব্লকের বিভিন্ন নদী থেকে এইভাবে বালি চুরির খবর দীর্ঘদিন ধরে পাচ্ছিলাম। গোটা এলাকাটাই বন দফতরের সম্পত্তি। তাই অবৈধ বালি উত্তোলন মেনে নেওয়া যাবে না। আজই শেষ নয়, অভিযান এভাবেই চলবে আগামী দিনে।
অলিপুরদুয়ার: সামনে বালি মাফিয়া ছুটছে প্রাণ ভয়ে আর পিছনে ধাওয়া করছে সিভিল ড্রেসের এক সরকারি আধিকারিক। নদীর চড় বরাবর ‘চেজ়’ করার একটুকরো এই ছবিটা চোখের সামনে ভেসে উঠলে যে কেউ ভাবতে পারেন দক্ষিণের কোনও অ্যাকশান ফিল্ম। হ্যাঁ, এমনই বিরল চিত্র ক্যামেরাবন্দি করেছে টিভি নাইন বাংলা। আলিপুরদুয়ার কালচিনি ব্লক আধিকারিকের ‘অপারেশন’ এখন মুখেমুখে ঘুরছে আশপাশের এলাকায়।
দীর্ঘদিন ধরেই কালচিনি ব্লকের বেশিরভাগ নদীর চর থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার কাজ চলছে। একদল অসাধু কারবারি কার্যত প্রকাশ্য দিবালোকে ট্রাক্টরের ডালা বোঝাই করে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে টন টন বালি। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে এই অবৈধ কারবার রুখতে সম্প্রতি কড়া হন কালচিনি ব্লকের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ। ঠিক করেন, কোনও অধস্তন আধিকারিকে নির্দেশ দিয়ে নয় বা কোনও নোটিস জারি করে নয়, বরং তিনি নিজেই নামবেন ময়দানে। সেইমতো শনিবার তিনি হঠাৎ পৌঁছে যান বাসরা নদীর ঘাটে। এক্কেবারে স্বচক্ষে দেখে ফেলেন ট্রাক্টরের ট্রলিতে বোঝাই হচ্ছে চুরির বালি। ব্যাস, সঙ্গে সঙ্গে দৌড় লাগালেন প্রশান্তবাবু। যাকে বলে ধাওয়া করা। অন্তত একটাকে হাতেনাতে ধরবেনই যেন পণ করে এসেছিলেন তিনি। নাহ, ধরতে পারেননি তিনি কাউকেই। তবে তার প্রয়াস প্রশংসা কুড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
বিডিওকে দৌড়ে আসতে দেখে, কার্যত ট্রাক্টর এবং ট্রলি ফেলে চম্পট দিতে হয়েছে বালি চোরদের। আর এর মাঝেই আমাদের ক্যামেরাবন্দি হয়ে গিয়েছে চোরকে ধরতে বিডিও সেই বিরল দৌড়। যা সচরাচর সরকারি আধিকারিকদের ক্ষেত্রে যেন ভাবনাতেও আসে না। বালি চোরদের ধাওয়া করা নিয়ে প্রশান্ত বর্মণ বলেন, ব্লকের বিভিন্ন নদী থেকে এইভাবে বালি চুরির খবর দীর্ঘদিন ধরে পাচ্ছিলাম। গোটা এলাকাটাই বন দফতরের সম্পত্তি। তাই অবৈধ বালি উত্তোলন মেনে নেওয়া যাবে না। আজই শেষ নয়, অভিযান এভাবেই চলবে আগামী দিনে।