আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) জলাভূমি দখলের অভিযোগ তৃণমূল নেতার (TMC leader) বিরুদ্ধে। তিনি আবার শাসক দলেরই ওয়ার্ড সভাপতি বেণু দে। এই নিয়ে জোর আলোচনা আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। যদিও, বিষয়টি নিয়ে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে আবার জলাভূমি দখল মুক্ত করতে রাতারাতি অভিযানে নামলেন আলিপুরদুয়ার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়। যদিও, বিষয়টিকে নাটক আখ্যা দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।
এই বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “আলিপুরদুয়ার শহরে লাগাতার জলাভূমি জবর দখল হচ্ছে। এখন পরিষ্কার করছে। কিন্তু এই জবর দখল কারা করছে। শহরের শাসকদলের ছোট, বড়, মেজো নেতা জড়িত। এক নেতা জলাভূমি দখল করছে, আর এক নেতা গিয়ে দখল মুক্ত করছে। আলিপুরদুয়ার শহরের জলাভূমি প্রশাসনের একাংশের মদতে হচ্ছে।” এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “সবটাই নাটক।মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে শাসকদল। মানুষ এর জবাব দেবে।”
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারে জলাভূমি ভরাট চক্রের জাল সুদুর প্রসারী। অভিযোগ, এই জলাভূমি ভরাট চক্রের সঙ্গে যুক্ত শাসক দলের ছোট বড় মাঝারি নেতা। ফলে জলাভূমি ভরাট রুখতে পুরসভা ব্যবস্থা নিতেই পারছে না বলে অভিযোগ। শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জলাভূমি দখল করে পাঁচতলা বিল্ডিং গজিয়ে উঠেছে।
পুরসভার পক্ষ থেকে এ নিয়ে তদন্ত হলেও শেষপর্যন্ত জলাভূমি আজও দখল মুক্ত হয়নি।
পুরসভা তিন সদস্যের কমিটি করে তদন্তভার দিলেও তার রিপোর্ট এখন বিশবাঁও জলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখনও নির্বিচারে জলাভূমি দখল হচ্ছে। দলের নেতারাই বুক ফুলিয়ে জলাভূমি দখল করছেন।বলার কিংবা দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে আলিপুরদুয়ার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চ্যাটার্জী বলেন, “আমি শোনামাত্র ওই জলাভূমি ভরাট রুখতে ব্যবস্থা নিয়েছি। জেসিপি দিয়ে মাটি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কে ওয়ার্ড সভাপতি তা দেখা হবে না। শোনা গিয়েছে ওয়ার্ড সভাপতি ওই জলাভূমি ভরাটের উদ্যেগ নিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি সাফ জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ার এর সমস্ত মানুষজনকে রাজনীতির উর্ধে থেকে জলাভূমি রক্ষার কাজে এগোতে হবে।
যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই বেণু দে-র সঙ্গে টিভি ৯ বাংলা যোগাযোগ করলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।