Liquor trafficking: পাহাড়ি শুনশান রাস্তায় দৌড়াচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স, দরজা খুলতেই রোগীর জায়গায় এ কী! চোখ কপালে পুলিশের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 09, 2022 | 12:09 PM

Alipurduar: অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশি মদ পাচারের চেষ্টা। হাতেনাতে ধরল পুলিশ।

Liquor trafficking: পাহাড়ি শুনশান রাস্তায় দৌড়াচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স, দরজা খুলতেই রোগীর জায়গায় এ কী! চোখ কপালে পুলিশের
অ্যাম্বুলেন্স (প্রতীকী ছবি)

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: রাস্তায় সাইরেন বাজিয়ে ঝড়ের গতিতে ছুটছিল গাড়ি। শুধু গাড়ি বললে বলা ভুল হবে। অ্যাম্বুলেন্স। প্রথমে দেখলে যে কেউ ভাববে গাড়ির মধ্যে রোগী রয়েছে। আর তেমনটা ভাবাই স্বাভাবিক। কিন্তু রোগীর জায়গায় এটা কী! চোখ কপালে ওঠার জোগাড় খোদ পুলিশের।

কী হয়েছিল?
অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশি মদ পাচারের চেষ্টা। হাতেনাতে ধরল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রবিবার রাতে ওই অ্যাম্বুলেন্স আটক করে পুলিশ। অবৈধভাবে অ্যাম্বুলেন্সে করে ভুটানে পঞ্চাশ কার্টুন হুইস্কির বোতল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে খবর। অভিযুক্ত ড্রাইভারই এই পাচারের ছক কষেছিল বলে পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

গ্রেফতার চালক
(নিজস্ব ছবি)

যদিও, গোটা ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তের নাম জিতেন ডোম। সে বীরপাড়ার বাসিন্দা। বিপুল পরিমাণে মদ রাখার জন্য কোনও আইনি সহায়ক নথি তৈরি করতে ব্যর্থ হয় সে। অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে বীরপাড়া থানায় সুনির্দিষ্ট মামলা রুজু হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, দক্ষিণবঙ্গেও রবিবার পাচারের ছক বানচাল করার খবর মিলেছে বিএসএফ-এর কাছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে বিএসএফ। পরিত্যক্ত ঘর থেকে সাত কেজি রুপোর গহনা উদ্ধার করেছে তারা। যদিও, অভিযুক্তদের মধ্যে কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তের ঘটনা। এলাকার পরিত‍্যক্ত ঘর থেকে প্রচুর রুপোর গহনা উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা বাংলাদেশে পাচার করতে না পেরে ওই পরিত্যক্ত ঘরে রেখে পালিয়ে যায় বলে খবর। উদ্ধার হওয়া গহনাগুলির বাজার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। সেগুলি তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে খাওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, রবিবার ভোররাতে ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষীদের কাছে খবর পৌঁছায়। রাতের অন্ধকারে সীমান্ত লাগোয়া পরিত‍্যক্ত ওই ঘরে কে বা কারা ঢুকেছে। তারপর সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দেখে প্যাকেট করা প্রায় ৭ কেজি রুপোর গহনা ফেলে পালিয়ে যায় তারা। প্রাথমিক অনুমান বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশে এগুলিকে জড়ো করা হয়েছিল।

Next Article