আলিপুরদুয়ার: রাজ্যে বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দল অব্যাহত। উত্তর থেকে দক্ষিণ জেলায়-জেলায় একই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এবার আলিপুরদুয়ার। সেখানেও অব্যাহত বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষ। তার জেরে হাতাহাতি। আর সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তা গড়াল থানা পর্যন্ত। বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে রবিবার ময়দানে নেমে বৈঠক করেন বিধানসভার পরিষদীয় দলনেতা তথা মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা।
কয়েকদিন আগেই রাজ্যে দু’দিনের সফরে আসেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। উত্তরবঙ্গে এসে তিনি বিজেপি কর্মীদের ‘ঘুরে দাঁড়ানোর’ বার্তা দিয়েছিলেন। তবে কোথায় কী! অচলাবস্থা যেমন ছিল ঠিক তেমনই রয়েছে। রবিবারও খবরে আসে জলপাইগুড়িতে প্রায় ৪০০ জন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এরপর ওই একই দিনে আলিপুরদুয়ার থেকে এমন খবর প্রকাশ্যে এল।
ঘটনার সূত্রপাত হয় শুক্রবার। আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ায় মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতা তথা ব্লক কোঅর্ডিনেটর রামবিলাস গোয়েল ও ব্লক নেতাদের ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায়। এই মর্মে দু’টি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখা যায়, একটি দোকানের ভিতর ১৬ নম্বর মণ্ডলের এক নেতা রামবিলাস গোয়েলের ছেলেকে চড় মারেন বিজেপির অপর নেতা। রামবিলাসবাবু এগিয়ে এসে বাধা দিতে গেলে তাঁকেও ধাক্কা মারা হয়। ফলত দোকানের সামনে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পরে রামবিলাসবাবুর ছেলে ১৬ নম্বর মণ্ডলের ৫ জন নেতার বিরুদ্ধে বীরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বীরপাড়া থানা সূত্রের খবর, তদন্ত শুরু হয়েছে গোটা বিষয়টির। এরপরই মনোজ টিগ্গাকে আসরে নামতে হয় সমস্ত কিছু মিটমাট করার জন্য। মনোজবাবু বলেন, ‘এটা ঠিক ওই দিন কিছু ঘটনা ঘটেছে। যা একেবারেই ঘটা উচিত ছিল না। তবে আমরা কথাবার্তা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত্রিবেলা ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ঝাড় আলতাগ্ৰামে যোগদান সভা হয়। সেই সভায় প্রায় ৪০টি বিজেপি পরিবারের সদস্যদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেয় ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কমল রঞ্জন সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক রাজেশ সিং, ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মলয় কুমার রায়, ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ মজুমদার, অঞ্চল সভাপতি তক্ষমোহন রায়, স্থানীয় গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধান নারায়ণ রায় সহ অনেকে।