আলিপুরদুয়ার: কলেজ কিন্তু কলেজ নয়। শুনতে কেমন লাগল না? আদতে বিষয়টা কিন্তু সেই রকমই। দেখলে মনে হবে কলেজ তবে কলেজ নয়। অনেকটা প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নানা সমস্যায় জেরবার আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের সোনাপুরে পীযুশ কান্তি মুখার্জী মহাবিদ্যালয়। এই কলেজে দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস হয় বিটি হাইস্কুলের একটি পরিত্যক্ত ঘরে। জানা গিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে এই কলেজ চলছে। দেড় হাজার ছাত্র ছাত্রী। কিন্তু তাঁদের জন্য বরাদ্দ মাত্র তিনটি ক্লাসরুম। এখানেই শেষ নয়, বাথরুমের অবস্থা শোচনীয়। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা।
একটা কলেজ। অথচ পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। তিনটি ক্লাস রুম। ক্লাস চললে ছাত্র-ছাত্রীদের বসার জায়গা নেই। দুর্বিসহ অবস্থা তাঁদের। তপশিলি, আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকার এই কলেজটিতে ৭টি বিষয় পড়ানো হয়। কলেজ চালু হওয়ার পর বিল্ডিং হয়নি। সাড়ে পাঁচ একর কলেজের নিজস্ব জায়গা থাকলেও কোনও একটি অজানা কারণে নতুন কোনও বিল্ডিং হয়নি। কলেজের উপযুক্ত জমি থাকলেও পরিকাঠামো নেই। তাই এখন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে কলেজ। এদিকে, কলেজের বাইরের দশাও বেহাল। গাছপালায় ছেয়ে গেছে গোটা কলেজ। শুধু এই নয়, ক্লাসরুমে নেই ফ্যান। একটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে ক্লাস।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, সমস্যা অনেক। তাঁরা জানান, একটা ক্লাস হলে, অন্যদের বসে থাকতে হয়। বাথরুম নেই। পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। এটা কলেজ বলা চলে না। এটা প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিনটি ক্লাস রুম। ১৫০০ স্টুডেন্ট। গরমে ফ্যান নেই।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিশ্বজিত রায় বলেন, ‘কলেজ চালু হওয়ার পর বিল্ডিং হয়নি। প্রশাসনিক স্তরে আবেদন করা হয়েছে। ক্লাসের সমস্যা। অফলাইনে পরীক্ষায় সমস্যা হচ্ছে। জমি রয়েছে।’ আধুনিক পরিকাঠামো দ্রুত করার আবেদন জানান তিনি। রাজ্যে শিক্ষাপ্রসারে যখন রাজ্যসরকার নানা উদ্যেগ নিচ্ছে তখন সোনাপুরে পীযুশ কান্তি মুখার্জী মহাবিদ্যালয় এর এই শোচনীয় পরিস্থিতি কেন? এখন এটাই প্রশ্ন উঠছে। এই বিষয়ে এসডিও-র কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।