আলিপুরদুয়ার: দুর্গা পুজো মানে আপামর বাঙালির আনন্দ উৎসব। শিউলি ফুল আর নতুন জামার গন্ধ মিলেমিশে একাকার। কিন্তু এই দুর্গোৎসবে যোগ দেন না এমন পরিবারও আছে বাংলার বুকে! আলিপুরদুয়ারে এমন কয়েকটি পরিবার এই পুজোর পাঁচটা দিন নিজেদের ঘরবন্দি করে রাখতেন। কারণ কথিত আছে যে এই পরিবারগুলি অসুর সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু অসুরকে বধ করেন মা দুর্গা, তাই এই পরিবারগুলি পুজোর কটা দিন সবার সঙ্গে আনন্দ করতেন না। এই রীতি চলে আসছিল বহুদিন ধরে। তবে এবার দিন বদলেছে। পুরনো বিশ্বাস থেকে ক্রমে বেরিয়ে আসছেন তাঁরাও। ওই সব পরিবারের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আজ ঠাকুর দেখে, মেলায় যায়, জামাও কেনে।
মা দুর্গার মুখ দর্শন করবেন না, এই নিয়ম আঁকড়ে ধরেছিলেন তাঁরা দিনের পর দিন। বয়স্ক মানুষজন বরাবরই পুজোর কটা দিন ঘরবন্দি থাকতেন। এখন তাঁরা সকলের সঙ্গে মিশে পুজোটা উপভোগ করেন।
আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবড়ি চাবাগানে ৫০ টি এমন অসুর সম্প্রদায়ের পরিবার বসবাস করে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় রয়েছেন কয়েক হাজার অসুর সম্প্রদায়ের মানুষজন।
এখন তারা পুজোয় আনন্দ করেন, প্রতিমা দর্শন করেন। নতুন প্রজন্মের সদস্যরা বলেন, আমরা পুজোয় প্রতিমা দেখি। ভাল লাগে। মাঝেরডাবড়ি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। একসময় অসুর সম্প্রদায়ের মানুষজন দুর্গা পুজোয় ঘর থেকে বের হতেন না। এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে, পুরনো নীতি নিয়ম আর কেউ মানে না।