আলিপুরদুয়ার: কয়েকদিনের বিরতি দিয়ে ফের সক্রিয় বালি মাফিয়ারা। দু’একদিন বন্ধ থাকলেও আবারও রমরমিয়ে চালু বালি পাচার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সবটা জানার পরও কোনও পদক্ষেপ করে না প্রশাসন।
আলিপুরদুয়ারের বনচুকামারীতে কালজানি নদী। সেখানে রমরমিয়ে চলছিল অবৈধ বালি পাচার। TV9 বাংলার খবরের জেরে শুরু হয় পুলিশি অভিযান। সেই অভিযান চালু হতেই বে-আইনি বালি পাচার বন্ধ হয়েছে সাময়িক ভাবে। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের শুরু একই কার্য-কলাপ। জানা গিয়েছে, আবারও সক্রিয় হয়েছে বালি মাফিয়ারা। অবাধে চলছে বালি তোলার কাজ। দিনের আলোতেই জেসিপি লাগিয়ে বালি তোলার কাজ চালাচ্ছে মাফিয়ারা।
এর পাশেই ডাঙ্গাটারী গ্রাম। জাতীয় সড়কের জন্য এই বালি ব্যবহার করা হবে বলে গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে বালি পাচার চলছে অব্যাহত। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এই কাজে যুক্ত শাসক দলের নেতারা। তাঁদের ভয়ে কেউ কিছু বলতে যান না। বলতে গেলেই মারধরের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।সেই কারণেই মুখে কুলুপ এটেঁছেন গ্রামবাসীরা। তবে গ্রামবাসীদের আশঙ্কা বর্ষায় নদীবাঁধ ভেঙে গেলে বিপন্ন হবে গ্রাম। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার। কেউ কিছু বলেও না। এই রকম চলতে থাকলে রাস্তাঘাট, বাড়ি সব ভেঙে যাবে।’
কিন্তু সেই কথা শুনবে কে? তাই আগ বাড়িয়ে বালি পাচার বন্ধে কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না গ্রামবাসীরাও। যাদের হাতে ক্ষমতা সেই প্রশাসনও ঠুঁটো জগন্নাথ! অভিযোগ উঠছে এমনটাই। পুলিশ ওই একাকায় যান না বলে জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। এদিকে, এই বালি পাচারে একটা র্যাকেট কাজ করছে। তার মধ্যে সকলে রয়েছেন।ফলে বন্ধ হচ্ছে না বালি পাচার। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসন কী ভূমিকা নেয় এখন সেটাই দেখার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও এভাবে আলিপুরদুয়ারে চলছে বালি পাচার। তাতে উদ্বেগে নিচু তলার কর্মীরা।
বস্তুত, এর আগে ওই একই এলাকা থেকে কয়েকদিন আগে বালিপাচারের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। পাশেই কোচবিহার সীমান্ত। সেই সীমান্তেই রমরমিয়ে চলছিল বালি খাদান। অভিযোগ, বালি মাফিয়ারা ক্রমাগত বালি তোলার কাজ শুরু করে আলিপুরদুয়ারের সীমান্ত লাগোয়া কালজানি নদীতে। তখনও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ছিল যারা এই কাজ করছে প্রত্যেকেই যুক্ত শাসকদলের সঙ্গে।